মাগুরা পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র কাউন্সিল পাড়ার বাসিন্দাদের বার্ষিক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাউন্সিল পাড়া থানার সামনে এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এমপি, পৌর মেয়র প্রার্থী খুরশিদ হায়দার টুটুল, ৯ং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মাগুরা পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র কাউন্সিল পাড়ার বাসিন্দাদের অনুষ্ঠিত সম্প্রীতির এই মিলন মেলায় উপস্থিত সকলে তাদের এলাকায় কাঙ্ক্ষিত রাস্তাঘাটসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য মেয়র প্রার্থী খুরশিদ হায়দার টুটুলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সে সাথে এবারের নির্বাচনে সম্মিলিতভাবে তাকে সমর্থন জানান তারা। এ সময় অতিথি হিসেবে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, প্রফেসর কামরুজ্জামান চাঁদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক খান আবুল হোসেন, প্রকৌশলী মাহবুবুল ইসলাম,শারাফুজ্জামান হিসামসহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আসন্ন পৌর নির্বাচনে এ ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ কাউন্সিলর প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মাগুরা পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল আছাব, আবু রেজা নান্টু, উজ্জ্বল দত্ত এক আসনে পাশাপাশি বসে সম্প্রতির এই মিলন মেলায় অংশ নেন। কাউন্সিল পাড়া বাসীর সম্প্রীতির এই মিলন মেলায় শামিল হয়ে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা সুষ্টু সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সম্প্রীতির বন্ধন বজায় থাকবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীদের পাশাপাশি হাস্যজ্বল অবস্থান উপস্থিত সকলের নজর কাড়েন।

ব্যতিক্রম এই আয়োজনের উদ্যোক্তারা জানান, প্রতিবেশীদের মাঝে সুসম্পর্ক ও সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে সকল ধর্ম-বর্ণ ও শ্রেনী- পেশার সকলকে নিয়ে বাৎসরিক মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। এ বছর পৌর নির্বাচনের সময় সকলকে উৎসাহিত করতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক খান আকরাম হোসেন নান্নুসহ সৈয়দ নিহারুল হক পপুল, সৈয়দ নুরুর হাফিজ রুবেল, মিনহাজ হোসেন, রবীন শরীফ, রবিউল ইসলাম, বাবুল হোসেন, লিটন সাহা, হিরা লাল, জয় সাহাসহ স্থানীয়দের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সম্প্রীতির এই মিলন মেলায় স্থানীয় বাসিন্দাসহ সহস্রাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়। এ উপলক্ষে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শুকুর আল মামুন ও তার দলের পরিবেশনায় মাগুরার আঞ্চলিক গানের এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান বাজনা শেষে রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়।