Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তারেক রহমানের মিল-ফ্যাক্টরির একটা ছবি দেখাতে পারলেন না?- রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:০৭ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে, মালয়েশিয়ায় তারেক রহমানের মিল, ফ্যাক্টরি, কারকানা আছে। আপনি (শেখ হাসিনা) তো ১২ বছর ধরে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছেন। কই? তারেক রহমানের সেই মিল, ফ্যাক্টরি, কারাখানা কোথায়? আপনিতো একটারও ছবি দেখাতে পারলেন না। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন তা ক্ষমতায় বসে থেকেও প্রমাণ করতে পারেননি। কারণ তারেক রহমানের সততা দিনের আলোর মতোই প্রস্ফুটিত। আর শেখ হাসিনার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অপপ্রচার।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘ভুয়া-বানোয়াট-মিথ্যা’ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তথা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর এতো প্রতিহিংসা কেন? উনার প্রতিহিংসা থামবে না, বাজপাখির মতো, ঈগলের মতো উনার প্রতিহিংসার পাখা ঝটপট ঝটপট করে সব সময়। কারণ তিনি দেখছেন, এতো গুম করলাম, এতো খুন করলাম, এতো বিচারবহির্ভূত হত্যা, এতো মামলা, তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীরা পিড়ার মতো লাখে লাখে ছুটে আসছে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মুকুট হচ্ছে গুম, আর মামলা হচ্ছে গলার মালা।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার আন্দোলনের ফসল মঈনউদ্দীন সরকারি পদে থেকে বললেন যে, তারেক রহমান বিদ্যুৎ খাত থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। অথচ পরে জানা গেলো যে, এই খাতে বাজেটই ছিল ১৩ হাজার কোটি টাকা। উনি এতোবড় মিথ্যা কথা বলেলেন, কারণ উনার মন ছিল আওয়ামী লীগের, শেখ হাসিনার চেতনায় রঞ্জিত।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বাবার আমলে একজন সাংবাদিক বলেছিলেন, যে সত্য বাবু মারা গেছেন। তাই শেখ হাসিনার আমলে তো সত্য থাকতে পারে না। সত্য থাকে গোরস্থানে। আর আজকে মিথ্যার চাষবাস হচ্ছে। তা না হলে শেখ হাসিনা বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আপনি বলেননি, মালয়েশিয়ায় তারেক রহমানের মিল, ফ্যাক্টরি, কারখানা আছে? কই? আজকে তো আপনি ১২ বছর ধরে ক্ষমতায়। তারেক রহমানের সেই মিল, ফ্যাক্টরি, কারাখানা কোথায়? আপনিতো একটারও ছবি দেখাতে পারলেন না। এসব মিথ্যা কথা আপনারা বলেছেন। বিএনপি সহনশীলতার রাজনীতি করে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি কতোটা সহনশীল, পরমত সহীষ্ণু, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল যে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বলেছে কিন্তু কোন মামলা হয়নি। কিন্তু আজকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বললেই মামলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকে জনগণ জানে, আপনার মন্ত্রীরাও বলেছে যে, মালয়েশিয়ায় যারা ক্যাসিনোর টাকায়, টেন্ডারের টাকায়, রাজকোষের লুটপাটের টাকায় সেকেন্ড হোম বানিয়েছে। এরা কারা? আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী, শেখ হাসিনার চারপাশে যারা আছেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কেন কুৎসা রটানো হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে, অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে? উনি (তারেক রহমান) তো লন্ডনে আছেন, তারপরও তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ওয়ারেন্ট জারি হয়। কারণ হচ্ছে- এই তিনজন হচ্ছেন জাতীয়তাবাদের প্রতীক। যারা স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব, পতাকা, মাটি, সমুদ্র, পাহাড় নিয়ে অহংকার করে তারাই জাতীয়তাবাদী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে বাদ দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, তিনি আমাদের যুদ্ধের, আন্দোলনের প্রেরণা, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার প্রেরণা। তার লেখনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তাকে সিলেবাস থেকে বাদ দেয়া হয়েছে কেন? কারণ আধিপত্যবাদী শক্তিকে খুশি করার জন্য। আজকে কাজী নজরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে বাদ দেয়া একই সূত্রে গাঁথা।

মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের কাজী আবুল বাশার ও উত্তরের আবদুল আলীম নকির পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বাইচ চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, শিরিন সুলতানা, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম, শামীমুর রহমান শামীম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, জাসাসের হেলাল খান, ছ্ত্রা দলের ফজলুল রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ