পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে এক ধরনের হাইপ (জোয়ার) উঠে গেছে। এটা নিয়ে আলোচনা বা সেমিনার করার কোনো অর্থ হয় না। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মানুষ আশা করে আপনাদের কাছ থেকে ভালো আউটপুট। মানুষ মনে করে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় একটা টেকনিক্যাল মন্ত্রণালয়। এখানে সব অর্থনীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা আছেন। তারা নিশ্চয় ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) ভালো করে তৈরি করে দিয়েছে। মন্ত্রী নিয়ে তারা কনসার্ন নয়, কারণ মন্ত্রী আসে যায়। আপনারা তো স্থায়ী সিভিল সার্ভেন্টস। আপনারা ২০ বছর, ২৫ বছর কাজ করে এখানে এসেছেন। সব থেকে বড় কথা যেটা আমি বলতে চাই না, আই ফিল আনইজি। কিন্তু বলতে বাধ্য হই। যেখানেই যাই, যে আলোচনায় যাই, দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করে। আমি বিরক্ত হই। দুর্নীতি তো কোনো প্রশ্নের বিষয় নয়। এটা একটা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট। পকেটমার একটা ক্রিমিনাল বিষয়। এটা নিয়ে আলোচনা করা, সেমিনার করার কোনো অর্থ হয় না। পকেটমার কী, আমরা বুঝি-জানি। তিনি বলেন, কিছু খাতে দুর্নীতি হচ্ছে, অবশ্যই হচ্ছে। তাদের কাছে দুর্নীতি করার ব্যবস্থাও আছে। দুর্নীতির নিশ্চয় একটা ভিত্তি আছে তা না হলে এটা নিয়ে এতো আলোচনা কেন হবে। দুর্নীতি নিয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের খসড়া রূপরেখা চ‚ড়ান্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। কর্মশালায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদফতরের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, মহাপরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, যুগ্ম প্রধান, উপ-প্রধান, উপ-সচিব পর্যায়ের মোট ৫৮ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রকল্পের কেনাকাটায় টিমওয়ার্ক দুর্নীতি হয় এটা আমার ধারণা, তবে ব্যক্তিগত দুর্নীতি বেশি হয়। একই সঙ্গে আমাদের সরকার যে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের জনগণের যে স্বচ্ছ ধারণা এটাকে কেউ প্রশ্রয় দেবে না। আমি বিশ্বাস করি আমাদের চারপাশে সবাই দুর্নীতি এড়িয়ে চলেন। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি করে প্রমাণিত হলে আমরা আইনিভাবে মোকাবিলা করবো। দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়বো।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, আমি টেলিভিশনে বেশ প্রো-অ্যাক্টিভ। গতরাতেও আমি একজায়গা আলোচনায় ছিলাম। লন্ডন থেকে পরিচালিত একটি বাংলা চ্যানেলে। ওখানে দেখা যায়, ঘুরেফিরে দুর্নীতি নিয়েই আলোচনা। দুর্নীতিতে তাদের আগ্রহ বেশি এবং এটা নিয়ে প্রশ্ন করেন সঞ্চালক। আমি বললাম যে, দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার কিছু নাই, গবেষণা করারও কিছু নাই। দুর্নীতি হচ্ছে, অবশ্যই হচ্ছে। এটার ব্যবস্থাও আমাদের কাছে আছে। দুর্নীতি হলে কী করতে হবে, সেই বিধান তো আমাদের বইপত্রে আছে। আমরা এর বাইরে কিছু করতে পারবো না। যদি এটা কম হয়, তাহলে সরকারকে প্রশ্ন করেন তাহলে সরকার এটা বাড়াবে।
এম এ মান্নান বলেন, যেহেতু আলোচিত হচ্ছে জিনিসটা সেজন্য আপনাদের নজরে আনলাম, এটা নিয়ে কিন্তু প্রচুর আলোচনা আছে। আমার ধারণা, এটা এক ধরনের হাইপ, এই ধরনের একটা ভাব। কিন্তু বাস্তবে স্বীকার করতে হবে জনগণের মধ্যে যেটা আছে, নিশ্চয় এর ভিত্তি একটা আছে। নাহলে এত আলোচনা কেন হচ্ছে? এ সমন্ধে আমাদের হওয়া প্রয়োজন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, তারা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।