পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার ঋণ বিতরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। কারণ নির্ধারিত সময়ে ঘোষিত ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাকি অর্থ বিতরণে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো আন্তরিক ও কার্যকর ভ‚মিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই)।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) এসএমই ফাউন্ডেশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঋণ বিতরণের সময়সীমা বৃদ্ধি করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, করোনার প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো,ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সময়সীমা গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পূরণ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ঋণ বিতরণ।
ফলে যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে প্যাকেজের ঋণ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি, তাদের আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তা নিশ্চিত করতে একটি মাসভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণের অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবমতে, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গত ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, এ সুযোগ শুধু প্রণোদনার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য পূরণ করতে না পারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।