Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পেতে ভুটানের সঙ্গে চুক্তি অনুমোদন

সিভিল কোর্টে বিচারকদের আর্থিক এখতিয়ার বাড়ল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের করোনা ভাইরাসের টিকা চলতি মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চুক্তির আওতায় ভুটান আরও ১৬টি এবং বাংলাদেশ আরও ১০টি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে দ্য সিভিল কোর্টস (অ্যামেনমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রান্ত থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

জানুয়ারিতেই আসছে করোনা ভ্যাকসিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনার ভ্যাকসিন তো আসছে, মুখ্য সচিব এটা কো-অর্ডিনেট করছেন। তিনি গত রোববার একটা মিটিং করেছেন। ওনারা হয়তো সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। সেরামের ভ্যাকসিন কবে বাংলাদেশে আসবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই মাসের মধ্যে চলে আসছে বলে আজকের মিটিংয়ে বলা হয়েছে। উনি (মুখ্য সচিব) বলেছেন, আশা করি এই মাসের শেষের মধ্যেই চলে আসবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে টুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে সেরাম ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট সই হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তির আওতায় ভুটান আরও ১৬টি এবং বাংলাদেশ আরও ১০টি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এরআগে ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ ভুটানকে ১৮টি পণ্যে এবং ভুটান বাংলাদেশকে ৯২টি পণ্যের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দিয়েছে। মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়েছে, আশেপাশের দেশগুলোর সঙ্গে যেন এমন চুক্তি করা হয়, যাতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশের সিভিল কোর্টগুলোর আর্থিক বিচারিক এখতিয়ারের পরিমাণ বাড়িয়ে একটি আইন সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালে আইন করে সিভিল কোর্টগুলোর বিচারিক এখতিয়ার বাড়ানো হলেও হাইকোর্ট তা স্থগিত করে দেয়। ফলে নতুন করে আইন সংশোধন করা হচ্ছে। তিনি জানান, সিভিল কোর্টগুলোর বিচারিক এখতিয়ারের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সহকারী জজের আর্থিক এখতিয়ার দুই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ টাকা, জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা এবং আপিল শুনানির ক্ষেত্রে জেলা জজের এখতিয়ার পাঁচ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে। যুগ্ম-জেলা জজ অনধিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মূল মোকদ্দমায় প্রদত্ত ডিগ্রি বা আদেশ হতে উদ্ভুত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারাধীন কোনো আপিল বা কার্যক্রম জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়েছে। এটা করতে আগে হাইকোর্টে যেতে হতো। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে পাঁচ কোটি টাকার কোনো আপিল হলে হাইকোর্টে যাওয়া লাগলেও আইন সংশোধন হলে জেলা জজ সেই আপিল শুনানি করতে পারবেন।

মিড ওয়াটার ট্রলারের লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মৎস সম্পদের সুষ্ঠু আহরণ, সংরক্ষণ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য আরও ১৫টি মিড ওয়াটার (মধ্য স্তর) ট্রলারকে লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই মন্ত্রিসভা বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত ছিলে, বঙ্গপোসাগরে একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় ট্রলারের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে। মন্ত্রিসভার সেই সিদ্ধান্তটি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দিয়েছে। বঙ্গপসাগরের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু আহরণ, সংরক্ষণ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সেসময় ১৫টি মিড ওয়াটার ট্রলার অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া হলেও লাইসেন্সের জন্য কোন ট্রলার পাওয়া যায়নি। সচিব বলেন, ২০১৪ সালে ২০ এপ্রিল তৎকালীন মন্ত্রীর নেতৃত্বে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বটম ওয়াটার ট্রলারকে মিড ওয়াটার ট্রলারে রূপান্তরের জন্য প্রশাসনিক আদেশ দেয়া হোক এবং যে ১৫টি মিড ওয়াটার ট্রলারের কথা বলা হয়েছিল, সেগুলো বাতিল করতে হবে। কারণ, যেহেতু এটি মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে তাই মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এ কারণে তারা মন্ত্রিসভায় বাতিলের প্রস্তাবটি নিয়ে এসেছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ