পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর সড়ক তারের জঞ্জালমুক্ত করতে অনঢ় অবস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আইএসপি ও কোয়াবকে বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে তার মাটির নিচ দিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় আবারও তার অপসারণ শুরু করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এই সিটির অধীনে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে গত ৩ জানুয়ারি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি সড়কের তারও অপসারণ করছে সিটি করপোরেশন।
তার অপসারণে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি ও বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যর্থতার পর গত আগস্টে দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জঞ্জাল সরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার নির্দেশে দক্ষিণ সিটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তার কেটে অপসারণও করে। কিন্তু ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের হুমকীতে থমকে যায় সেই অভিযান।
পূর্ব নির্দেশনা না দেয়া এবং বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ এনে ১৮ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেয় আইএসপি ও কোয়াব। পরবর্তীতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আইএসপিবি ও কোয়াবের সাথে বৈঠকে আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করেন তাঁরা। এরপর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করে মাটির নিচ দিয়ে তার নেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয় এবং কর্মসূচি তুলে নেয় আইএসপিএবি। নভেম্বরের মধ্যেই তার মাটির নিচে নিতে আল্টিমেটাম দেয় দক্ষিণ সিটি। সেই সময়েও কাজ না হওয়ায় আবারও এক মাস সময় বাড়িয়ে দিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দক্ষিণ সিটিতে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোড সংলগ্ন আশপাশের এলাকায় মাটির নিচে তার স্থাপনের কাজ শুরু করেছে আইএসপিএবি। অন্যদিকে উত্তর সিটিতে গুলশান এভিনিউ ও উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের তিনটি সড়কে মাটির নিচ দিয়ে সংযোগ নেয়ার কাজ শেষ হয়েছে। এর বাইরে উত্তরা ৪, ৬ ও ১১ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন সড়কে এবং গুলশানের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এলাকা থেকে বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে কাজ চলছে। এর বাইরে পুরো ঢাকা শহরের সড়কেই ঝুঁলছে তারের জঞ্জাল।
জানতে চাইলে আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, ২০ বছরের তারের জঞ্জাল চাইলেই ২ মাস, ৬ মাসে অপসারণ করা সম্ভব নয়। সরকার যেভাবে চাইছে আমরা কাজ শুরু করেছি। সরকার যদি সহযোগিতা করে তাহলে আগামী ২ বছরের মধ্যে প্রধান সড়কগুলো থেকে তার অপসারণ করা সম্ভব হবে।
তিনি জানান, দক্ষিণ সিটিতে পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে ধানমন্ডিতে একটি সড়কের তার অপসারণ করে মাটির নিচ দিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া উত্তর সিটিতে আমেরিকান এ্যাম্বাসি থেকে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ পর্যন্ত এবং পাকিস্তান এ্যাম্বাসি থেকে শ্যুটিং ক্লাব পর্যন্তও তার মাটির নিচে নেয়া হয়েছে। তবে পুরো ঢাকা শহরের সড়ক থেকে তার অপসারণ এতো অল্প সময়ে নেয়া সম্ভব না।
জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র মো. আবু নাছের বলেন, দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন সড়ক থেকে ঝুলন্ত তার অপসারণ করে মাটির নিচ দিয়ে নিতে প্রথমে নভেম্বর পর্যন্ত এবং তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আরও এক মাস বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দেয়া হয়েছিল।
আল্টিমেটাম দেয়ার পরও এখনো সড়কে তার ঝুলছে স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সড়ক থেকে জঞ্জাল সরাতে অনঢ় অবস্থানে। আইএসপি ও কোয়াবকে দেয়া সময়সীমা অতিক্রম করার পর তাই আবারও তার নির্দেশে অভিযান শুরু করেছে দক্ষিণ সিটি। গত ৩ জানুয়ারি থেকে যেসব এলাকায় দক্ষিণ সিটির উচ্ছেদ অভিযান চলছে সেসব এলাকার সড়ক থেকেও তার কেটে অপসারণ করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে কিনা জানতে চাইলে আবু নাছের বলেন, মেয়র পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।
রাজধানীর সড়কে সৌন্দর্য বাড়াতে এবং কম খরচে নিরবিচ্ছিন্ন দ্রæতগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে ২০০৮ সালে ঝুলন্ত তার অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। এজন্য ফাইবার অ্যাট হোম, সামিট কমিউনিকেশন্সকে নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে এই লাইসেন্স দেয়া হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ও বাহনকেও দেশব্যাপী তথ্য-প্রযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণের জন্য এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
গত ১২ বছর ধরে বিটিআরসি ও বিদ্যুৎ বিভাগ রাজধানীর জঞ্জাল সরাতে চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। সর্বশেষ রাজধানীর ঝুলন্ত ইন্টারনেট ও ডিসের তারসহ সকল তার অপসারণের জন্য ৩০ মে পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। ওই সময়ের মধ্যে তার অপসারণ না করলে তার কেটে দেয়াসহ সংশ্লিষ্ট আইএসপি ও ক্যাবল অপারেটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিদ্যুৎ বিভাগ। সেই সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরও বিদ্যুৎ বিভাগ কোন উদ্যোগ না নিলেও গত ৫ আগস্ট থেকে মাঠে নামে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। কোন আল্টিমেটাম না দিয়ে তার অপসারণে শুরু করে ডিএসসিসি। একের পর এক সড়কে তার কাটতে থাকলে টনক নড়ে আইএসপিএবি ও কোয়াবের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।