বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : রামগঞ্জ- চৌমুহনী-নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী লোকাল বাস সার্ভিস জননী পরিবহন ১৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে লোক সমাগমের জন্য সরকারদলীয় এক নেতার চাহিদামতো বাস সরবরাহ না দেওয়ায় ঐ নেতার ইঙ্গিতে কিছু উৎশৃঙ্খল নেতাকর্মী জননী পরিবহনের বেস কয়েকটি বাস ভাংচুর করে। এর প্রতিবাদে জননী পরিবহনের মালিকরা ১৩ আগস্ট থেকে এ রুটের রামগঞ্জ অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ দেয়। এতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি, হয়রানী পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চলতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।
জননী বাস মালিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৩ আগস্ট রামগঞ্জ উপজেলা কমিনিটিং পুলিশ ও থানা প্রশাসনের উদ্যোগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসার জন্য জননী সার্ভিসের ৯টি বাস চান সরকারদলীয় এক নেতা। যথাসময়ে ৮টি বাস দেওয়া হলেও যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ১টি বাস কম দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ নেতার অনুসারী কিছু উংশৃঙ্খল নেতাকর্মী বাস টার্মিনাল ও বালুয়া চৌমুহনী এলাকায় জননী পরিবহনের ৫-৬ টি বাসের সামনের ও দু’পাশের গ্লাস ভাংচুর করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকে রামগঞ্জের অংশে জননী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিক সমিতির নেতারা। রামগঞ্জ টার্মিনাল থেকে জননী পরিবহনের বাস গুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসগুলো নোয়াখালীর চাটখিল থেকে চৌমুহনী-সোনাপুর রুটে চলাচল স্বাভাবিক করলেও রামগঞ্জ উপজেলা এলাকায় প্রবেশ না করে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সীমান্তে দশঘরিয়া এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। এ রুটে চলাচলকারী ফারুক হোসেন পাটোয়ারী ও সিরাজ মিয়া জানায়, জননী বাস চলাচল না করায় অটোরিকশা করে ৫ গুন বেশি ভাড়া দিতে হয়। সময়মত অটোরিকশা পাওয়া যায় না। এতে চরম হয়রানির শিকার হতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জননী বাসের এক চালক বলেন, নোয়াখালীর পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা শর্ত দিয়েছেন, যারা বাস ভাংচুর করেছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ না করার অঙ্গীকার করলেই এ রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বাস ভাংচুরের অভিযোগ সঠিক নয়। বিষয়টি সুরাহাকল্পে আলোচনা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।