Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নমুনা পরীক্ষা বাড়লেও শনাক্ত কমেছে

দেশে করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

নতুন বছরে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে নমুনা পরীক্ষা বাড়লেও শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগী কমেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে দেশে আরো ২২ রোগীর মৃত্যু এবং ৬৯২ রোগী শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৬৯২ জন নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২১ হাজার ৩৮২ জন হয়েছে। একই সঙ্গে ২২ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৭ হাজার ৭৫৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গৃহ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ৭৮৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪ জন। আগের দিন ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল করোনাভাইরাসে। যা গত আট সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১২ হাজার ৯০৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৯২ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাড়লেও শনাক্তের সংখ্যা ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে। একইভাবে মৃতের সংখ্যা ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে। আবার সুস্থতার হারও কমেছে ২৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনে সর্বাধিক ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২২ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন, নারী ৭ জন। এই ২২ জনের মধ্যে ২১ জনই হাসপাতালে মারা গেছেন; আর বাড়িতে মারা গেছেন ১জন।

করোনাভাইরাসে পুরুষের সংক্রমণ হার বেশি। দেশে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫ হাজার ৮৯৫ জন পুরুষ। নারী মারা গেছে ১ হাজার ৮৬১ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে। এছাড়া ৩ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে। আর ২ জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এই নিহতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছে ১৭ জন। বাকিদের মধ্যে ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী ও ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা।

এই পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে জানানো হয়, ষাটোর্ধ্ব রোগীদের মৃত্যুর হার ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ।

দেশে এলাকাভিত্তিক মৃত্যু বিশ্লেষণে দেখা যায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ২৭৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৪৩০ জন, রাজশাহীতে ৪৪৭ জন, খুলনায় ৫৩৯ জন, বরিশাল ২৩৯ জন, সিলেটে ২৯৪ জন, রংপুরে ৩৫০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৭৮ জন। মৃতের এই হার শতকরা হিসেবে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৫৫ দশমিক ১৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, খুলনায় ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ, সিলেটে ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, রংপুরে ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ