বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশষে প্রমাণিত হলো তিনি নির্দোষ। কিন্তু ১০ বছর ধরে যে কারাগারে নির্মম জীবনযাপন করছেন তার দায়ভার কে নিবে। শহিদুল তো ফিরে পাবে না তার কারাভোগের সেই ১০ বছর।
প্রায় দশ বছর আগে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন রানাভোলা এলাকায় স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে হত্যার দায় থেকে খালাস পেয়েছে স্বামী শহিদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসের আদেশ দেন।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, আসামি বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হলো। সেই সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে যদি অন্য কোনো মামলা না থাকে তাহলে তাকে এখনি ছেড়ে দেওয়া হোক।
রায় ঘোষণার আগে শহিদুল ইসলামকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২২ আগস্ট রাত ১২টা থেকে রাত ৩টার মধ্যে ঢাকার তুরাগ থানাধীন রানাভোলার মুক্তার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
ঘটনার সময়ে নিহত জেসমিনের সাড়ে চার বছর মেয়ে তাসলিমা আক্তার তা দেখে ফেলে। পরবর্তীতে আসামি মো. শহিদুল ইসলাম ঘরে তালা লাগিয়ে তাসলিমাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর, পুলিশ শহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি থেকে তার মেয়ে তাসলিমা আক্তারকে উদ্ধার করেন। পরে তাসলিমা আক্তার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি এবং আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে।
২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০১২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।