পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ বা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। গত ২৮ ডিসেম্বর তাদের এই অনুমতি দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের’ জন্য ভ্যকাসিন উৎপাদনের যে লাইসেন্স বা অনুমোদন সেটি আমরা পেয়েছি। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) প্রটোকল জমা দেব সামনের সপ্তাহে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই ট্রায়াল শুরু করা হবে। চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই গ্লোবের ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্সের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির এই কর্মকর্তা বলেন, ট্রায়াল পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘সিআরও’ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যাদের এ ধরনের ট্রায়াল পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিএমআরসি’র অনুমোদনের পর নিয়মানুযয়ী ৩টি অর্থাৎ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিউম্যান ট্রায়াল পরিচালনা করা হবে। বিএমআরসির অনুমোদন পেলেই সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় আছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি কোম্পানির ভ্যাকসিন চূড়ান্ত অনুমাদন নিয়ে বাজারো এসেছে। বাকীগুলো এখনো ডেভেলপমেন্ট বা ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। সেই তালিকায় থাকা বাংলাদেশি একমাত্র কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক। শুরুতে গ্লোব তাদের ওই ভ্যাকসিনের প্রস্তাবিত নাম করে ‘ব্যানকোভিড’। তবে গত ডিসেম্বরে তা পরিবর্তন করে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ রাখা হয়।
সারা বিশ্বে যেসব ভ্যাকসিন তৈরির কাজ হচ্ছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে এমন ৪২টি ভ্যাকসিনের একটি তালিকা এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগের অবস্থায় (প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) থাকা ১৫৬টি ভ্যাকসিনের আরেকটি তালিকা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। ওই তালিকায় গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিনের নাম উঠেছে।
গত বছরের ৩ জুলাই তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্লোব বায়োটেক করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উৎপাদনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ১০ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে তাদের ওই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ‘কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে। ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআর,বি’র সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করলেও পরে তা বাতিল করে গ্লোব বায়োটেক। গত ১ ডিসেম্বর গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ চুক্তি বাতিলের কথা জানান। ওই সময়ে তিনি বলেন, আইসিডিডিআর,বি’র অনাগ্রহ দেখে তারা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।