Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাউবো’র বাঁধে পাকা ঘর নির্মাণ

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের স্লোব কেটে পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে সপ্তাহ ধরে নির্মাণ কাজ করা হলেও সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বহাল তবিয়তে চালান হচ্ছে নির্মাণ কাজ। এছাড়া ইরামনি ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
বুধহাটা-কুল্যা ইউনিয়নের সীমান্তবতী পাউবো’র ২নং পোল্ডারের বেড়িবাঁধের স্লোব কেটে এক সপ্তাহ আগে থেকে মেসার্স ইরামনি ব্রিক্স কর্তৃপক্ষ ৩ কক্ষ বিশিষ্ট বৃহৎ আকারের পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
ঘরের গাঁথনির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ওয়াপদার স্লোব কেটে এবং খাস জমিতে পাকা ইমারত নির্মাণ করার ঘটনা এলাকার মানুষকে অবৈধ দখল কাজকে উৎসাহিত করছে। সপ্তাহ ধরে নির্মাণ কাজ চললেও সরকারি কর্তৃপক্ষ ও পাউবো’র পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইটভাটার ম্যানেজার জানান, অনেক স্থানে এভাবে পাকা কাজ করা হচ্ছে, আমরাও সেরকম কাজ করছি। এ ব্যাপারে পাউবোর এসও সাদিউর রহমানের গত ৩ জানুয়ারি মোবাইলে দুপুর ১২টার দিকে কথা বললে তিনি লোক পাঠাচ্ছি বলেন।
কিন্তু কাজের স্থানে কোন লোক আসেনি। একদল সাংবাদিক বিকাল ৪টার দিকে ইটভাটায় গিয়ে শ্রমিকদের কাজ করতে দেখে পাউবোর এসও’র সাথে পুনরায় মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন, লোক পাঠিয়েছিলাম কিন্তু কাজ করছে না বলে সে জানিয়েছে। আমি আবার সেখানে লোক পাঠাচ্ছি। তবে সেদিন থেকে গতকাল ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কাজ বন্ধ হয়নি।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার ইটভটায় দেখা যায়, পুরোদমে কাজ করা হচ্ছে এবং ঘরের ছাউনির কাঠের ফ্রেম তৈরির কাজ চলছে। এসও রাব্বির সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি, ঘটনা আমার জানা ছিলনা, জানলাম এখই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় ভাটায় ট্রলিতে করে কাঠ আনতে দেখা যায়। ভাটায় এভাবে কয়লার পাশাপাশি কাঠের ব্যবহারও হয়ে থাকে বলে অনেকে দাবি করেন।
এ ব্যাপাারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ