রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জয়পুরহাট জেলায় এবার ১১ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সরিষা চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় স্থানীয় কৃষকরা এবার সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে। ইতোমধ্যে জেলার মাঠগুলো সরিষার হলুদ ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত এবং খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটের আবাদি জমি, মাঠ-প্রান্তর এখন হলুদ বর্ণে সেজেছে। পৌষের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষা ফুল আর গুঞ্জন তুলে এই ফুলের রাজ্যে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছির দল।
জানা যায়, চলতি মৌসুমী জয়পুরহাট জেলায় ১১ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এরমধ্যে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ৩ তিন হাজার ৬শ’ ৫০ হেক্টর, পাঁচবিবি উপজেলায় ৪ হাজার ৮শ’ ৭০ হেক্টর, কালাই উপজেলা ৩০০ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলা ৯শ’ ১০ হেক্টর, আক্কেলপুর উপজেলার ১ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবারও এ চাষে আগ্রহ বেশি।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, আমন ধান কাটার পর জমি তৈরি করে সরিষা বিজ বোপণ করা হয়। দুই মাসের মধ্যে ফলন ঘরে তোলা যায়। এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় ১ হাজার থেকে ১৩শ' টাকা। প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ৬ মণ সরিষা পাওয়া যায়। যা বর্তমানে প্রতিমণ সরিষার বাজার দর ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা। জেলার কৃষকরা এবার উন্নত জাতের বারি ১৪, বারি ১৮, বারি ১৫, বেলা ৪, বেলা ৯ এবং বারি ১৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা হালট্রি গ্রামের কৃষক সুলতান মাহমুদ, পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা ও রসুলপুর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, আমন ধান কাটার পর পড়ে থাকা জমিতে প্রতি বছরই আমরা সরিষা চাষ করি। এবার সরিষার গাছ যেমন ভালো হয়েছে তেমনি ফুলও খুব ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে ফলনো ভালো হবে বলেও তারা বলেন।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শ ম মেফতাহুল বারী বলেন, সরিষা চাষের জন্য এবারের আবহাওয়া অত্যন্ত ভালো। মাঠে রোদের তীব্রতা রয়েছে ফলে সরিষায় তেমন কোনো রোগবালাই দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত সরিষার গাছ এবং ফুল অত্যান্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার জেলায় সরিষার চাষও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরিষা চাষ আরও বৃদ্ধির লক্ষে সরকারিভাবে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে সহযোগীতা করা হয়েছে। বিনামূল্যে ডিএপি, এমওপি, পটাশ, ইউরিয়া পটাশ সার ও বিজ বিতরণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।