পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সহসভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, ইসলাম নির্মূলবাদী চক্র আলেম-উলামা ও মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনায় যেনো নতুন উদ্যোমে কোমর বেঁধে নেমেছে। এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাদের তল্পিবাহক ও আধিপত্যবাদের স্বপক্ষে কাজ করা কতিপয় ইসলামবিদ্বেষী দালাল সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে। এই চক্রের সা¤প্রতিক মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনার শিকার চাঁদপুরের তালিমুল কুরআন ওয়াল হিকমাহ মাদ্রাসা ও এর শিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুক।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে সম্পূর্ণ সাজানো ও মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয় চিহ্নিত কিছু লোক চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার তালিমুল কুরআন ওয়াল হিকমাহ (রহিমানগর) কওমী মাদরাসায় ভাঙচুর এবং হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুককে চরম লাঞ্ছিত ও মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এই নিরপরাধ কুরআনের শিক্ষক বিনা দোষে জেলে আছেন। এ ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, হামলার সময় উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা অভিযোগের সত্যতা যাছাই করতে হামলাকারীদেরকে সিসিটিভি’র ভিডিও ফুটেজ দেখতে বার বার অনুরোধ করেন। কিন্তু হামলাকারীরা তাতে কর্ণপাত করেনি। পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজে প্রমাণিত হয়েছে যে, হামলাকারীদের অভিযোগ নিরেট ষড়যন্ত্রমূলক ও সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের বরাতে আরো জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে থেকে মাদ্রাসাটির জায়গা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে একটি মহল। তাদের যুক্ত হয়েছে দেওবন্দী মতাদর্শবিরোধী স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। এই মহলটি ইসলামবিদ্বেষীদের চলমান আলেম-উলামা ও মাদ্রাসাবিরোধী অপপ্রচারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত শিক্ষককে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।