পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সময়মতো পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তির আলোকে এরই মধ্যে টিকাদান সম্পর্কিত সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে গত রোববার সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের যে লাইসেন্স রয়েছে সেটি অনুযায়ী, তারা এ মুহূর্তে টিকা রফতানি করতে পারব না। এমনকি খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারব না। সেরামের এ বক্তব্যে দেশবাসীকে আতঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, টিকার বিষয়ে সেরামের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে তার কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞায় সময়মতো টিকা প্রাপ্তি নিয়ে দেশের মানুষের মনে শঙ্কা দেখা দিলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের চুক্তি করেছে। পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। ভারতের হাই কমিশনারও ভ্যাকসিন প্রদানে আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের কথায় আমরা আশ্বস্ত হয়েছি। শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, সবকিছু মিলে সরকার সময় মতোই ভ্যাকসিন পাবে।
ভ্যাকসিন সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ভারত সরকার তাদের দেশে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমতি দিয়েছে। তবে, ভ্যাকসিন প্রয়োগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আবেদন করলে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। এসব কারণে ওদের দেশেও ভ্যাকসিন প্রয়োগে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন আনা সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর (সিএমএসডি), স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট অন্য শাখাগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে সরকার উদ্যোগী ভ‚মিকা অব্যাহত রাখছে। ভারত সরকারও চুক্তি মোতাবেক আমাদের সময় মতো ভ্যাকসিন দেবে বলে অবগত করেছে। সুতরাং ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমরা পুরোপুরি অবগত নই। তবে এ বিষয়ে এরই মধ্যে আমরা বেক্সিমকো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারতীয় হাইকমিশন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের পর টিকা আমরা পাব। তারা এরই মধ্যে সেখানে আবেদন করেছে। আশা করছি তারা দ্রুতই অনুমোদন পাবে। তাদের সঙ্গে আমাদের যেটুকু আলোচনা হয়েছে তাতে টিকা না পাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। তাছাড়া আমাদের যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে সেটি আন্তর্জাতিক মানের। চুক্তি অনুযায়ী, এরই মধ্যে আমরা ১২০ মিলিয়ন ডলারও তাদের প্রদান করেছি এবং তার বিপরীতে তারা আমাদের ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে। তবে যেহেতু একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তাই টিকা কবে পাব সেটি নিয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আশা করছি দু’এক দিনের মধ্যে বিস্তারিত জানা যাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে শুধু আমাদের নয় আরও অনেক দেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আলোচনায় আমরা নিরাশ নই, আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তার সম্মান তারা রাখবে।
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ভারত সরকার কেবল বাণিজ্যিকভাবে টিকা বিক্রি ও বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের সাথে হওয়া চুক্তির উপরে ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলেই বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার নিশ্চিত করেছে। তাছাড়া আমরা যে চুক্তি করেছি সেটি কোনো সাধারণ চুক্তি নয়। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই আমরা টিকা পাব। টিকা আসার পর আমাদের দেশে যেন দেরি না হয়, সেজন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে সব প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। যদিও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের সাথে নয়, চুক্তি হয়েছে সেরামের সাথে বেক্সিমকোর।
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।