Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধামরাইয়ে ৩২৮ গৃহহীন পাচ্ছেন নান্দনিক ঘর

মো.আনিস উর রহমান স্বপন, ধামরাই (ঢাকা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩২৮টি পরিবার পাচ্ছেন নান্দনিক ঘর। যাদের জমি এবং বাড়ি কোনো কিছুই নেই তাদেরকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দু’কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে সরকার ‘ক’ ক্যাটাগরিতে যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন তাদের জন্য নতুন ঘর তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প আশ্রয়ণ ২-এর আওতায় ঢাকার ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই এলাকায় প্রায় ৮ একর জায়গার মধ্যে ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে কমপক্ষে দুই শতক খাস জমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট ৩৬টি সেমিপাকা ঘর তেরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে এসব গৃহের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সামিউল হক। সরকারের মহতি এ উদ্যোগটি জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে থাকা সরকারি ভ‚মি উদ্ধার ও ঘরের স্থান নির্ধারণসহ এসব ঘর নির্মাণে তদারকির জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সামিউল হক। সাথে রয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) অন্তরা হালদার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রতিটি গৃহনির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রতিটি গৃহে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝ এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি কক্ষ, একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা থাকবে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ছিন্নমূল ও ভ‚মিহীন পরিবারের তথ্য উপজেলা ভ‚মি অফিস থেকে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পরেই সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন। ‘ক’ শ্রেণির ৩২৮টি পরিবারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩৬টি পরিবারের জন্য তৈরিকৃত ঘরের কাজ আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ‘আর বাকিদের অনুমোদন সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে সরকারি ঘর দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে’ বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সামিউল হক বলেন, ‘কাজের গুনগত মান শত ভাগ বজায় রেখে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সমাজের নিম্নআয়ের অসহায় ভ‚মিহীন পরিবারগুলোর কাছে যথাযথভাবে বুঝিয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর এবং তাদেরকে সরকারের মাধ্যমে একটা সেরা উপহার দিতে পারলে আমরা গর্বিত হবো। তিনি আরো বলেন, যাদেরকে ঘর ও জায়গা দেয়া হবে তাদের প্রত্যেকের নামেই দলিলে রেজিস্ট্রি মাধ্যমে জায়গা ও ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ