Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধামরাইয়ে ইউপি সদস্যের মা খুন, বাবা আহত

প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার ধামরাইয়ে বাথুলি গ্রামে এক ইউপি সদস্যের মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা এবং বাবাকে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। 

শুধু হত্যা নয় ঘরের ভেতর আলমারীতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের মেয়ের ঘরের নাতি জুয়েল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত কোন মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ ।

পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানায়, উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ও ফটু মিয়ার বাবা ফালু বেপারী (৮৫) ও তার মা মোছা. রজ্জ বানু (৮০) প্রতি দিনের ন্যায় বুধবার রাতে ও নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে।
প্রতিদিন ভোরে নামাজ পড়ার জন্য উঠে ফালু বেপারী।
বাড়িতেই ভাড়া থাকে গার্মেন্টস কর্মী রত্না আক্তারসহ তার পরিবার। আজ সকালে ওই গার্মেন্টস কর্মী তাদেরকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতর ফালু মিয়াকে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত ও বালিশ চাপা দেয়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ফালু বেপারীকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
কিন্তু স্ত্রী রজ্জবানুকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখে যে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ওই ঘরের দু’তলার মধ্যে কাঁথা দিয়ে পেঁচিয়ে ফ্রিজের কার্টনের ভেতর ভরে রাখা হয়েছে।

সকালে থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের ভিতর দুটি স্টিলের আলমারির তালা ভাঙ্গা দেখতে পায়। তবে কি পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার/মালামাল লুট হয়েছে তা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেনি ওই পরিবারের সদস্যরা।
পরে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ ।
অপর দিকে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ওই বৃদ্ধের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত মোছা. রজ্জবানুর বড় ছেলে ও সূতিপাড়া ইউনয়ন পরিষদের সদস্য ও বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ফটু মিয়া জানান, আমার মা বাবার কাছে অনেক টাকা ছিল হয়তো টাকা নেয়ার জন্যই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন,নিহতের বাড়ী পরিদর্শন করে মনে হয় এটা কোন ডাকাতির ঘটনা নয়। তদন্তের পর বোঝা যাবে ডাকাতির ঘটনা না পারিবারিক খুন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ