পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রায় ছয় কোটি মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের অর্ডার নিশ্চিত করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে আরও অর্ডার দেয়া হবে। একই সঙ্গে আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত। যুক্তরাজ্যের পর ভারতে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। তিনি বলেন, করোনা ভ্যাকসিনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ায় অনেক দেশের তুলনায় কম দামে অল্প সময়ে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সর্বোচ্চ ৫ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৪২৫ টাকা) খরচে পাওয়া যাবে। চুক্তি অনুযায়ী এই সপ্তাহেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালানের টাকা পরিশোধ করা হবে। প্রথম চালানে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসছে। আগামী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে তিন কোটি ভ্যাকসিন আমরা পাবো। একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন শিগগিরই অনুমোদন দেবে। এ ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল মানিকগঞ্জের গড়পাড়া এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ১৮ বছরের নিচে ৪০ শতাংশ জনসংখ্যা, ৩০ থেকে ৩৫ লাখ গর্ভবতী মা এবং প্রবাসী প্রায় এক কোটি সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন লাগবে না। বাকি চার কোটি লোকের ভ্যাকসিনের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে। এছাড়া জুন মাসের মধ্যেই গ্যাভির আরো পাঁচ থেকে ছয় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেশে চলে আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরও টিকা দেয়া লাগবে। জাহিদ মালেক বলেন, প্রথম চালানের ভ্যাকসিন কাদের প্রথম দেয়া হবে, সে বিষয়ে তালিকা প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। ভ্যাকসিন দেয়ার পরও মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। এর আগে ঢাকা থেকে যাওয়া সাংবাদিকদের মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখান। সে সঙ্গে তার উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলোও তাদের মাঝে তুলে ধরেন।
করোনায় ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত ডাটা মিডিয়া বুমবার্গ বাংলাদেশকে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ২০তম ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম স্থানের স্বীকৃতির বিষয়টি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বুমবার্গের স্বীকৃতিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এটি কেবল দেশের অর্থনৈতিক সফলতা দেখেই রিপোর্টটি করেনি। প্রতিষ্ঠানটি করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো, টিকাদান সক্ষমতা, চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১০টি মেট্রিক্স বিবেচনা করে এই ফলাফল ঘোষণা করেছে। কাজেই এই ফলাফল আমাদের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যখাতের সবার সম্মিলিত সাফল্যে দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিকভাবে চলছে। করোনায় বাংলাদেশ ও চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বে এখন সর্বোচ্চ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।