পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার সংকটের মাঝেও থেমে নেই জীবনযাত্রা। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চেষ্টা করছে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, চাকুরিজীবি সবাই। নতুন বছরে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলার প্রত্যাশা সকলের। নতুন বছরে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই পথচলা শুরু হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। সরকারের চলমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দলকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত শক্তিশালী করার পরিকল্পনা ক্ষমতাসীনদের। দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র, বিরোধী দলকে আন্দোলন করতে না দেয়া, ভাস্কর্য ও ধর্মীয় ইস্যু মোকাবেলা করে রাজনীতির মাঠ দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ।
এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষ উদযাপন করা যায়নি গতবছর। তাই এই বছর জুড়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ পালনে চিন্তাভাবছে করছে তারা। অন্যদিকে নতুন বছরের শুরু থেকেই সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে তাদের। তবে এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত চলমান দল গোছানোর কাজকে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মেয়াদোত্তীর্ণ মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে ঢেলে সাজানো হবে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, নতুন বছরের করোনা পরিস্থিতি সামলিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে মে-জুন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাজনৈতিক সমীকরণ পরিষ্কার হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে ৪২ বিশিষ্ট জনের চিঠি দেয়ায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র নিয়ে বেশ সতর্ক তারা। নতুন করে কেউ যেন ষড়যন্ত্র না করতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে।
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের ২৪টি পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বেশিরভাগ জায়গায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম মাসের মাঝামাঝিতেই আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের ৬১ ও ৬৪ পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ধাপে ধাপে তফসিল ঘোষণার পরে বাকি পৌরসভা নির্বাচনী মাঠেও ব্যস্ত থাকতে হবে আওয়ামী লীগকে। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এপ্রিল থেকে শুরু হতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ধাপে ধাপে সারা দেশের প্রায় সাড়ে তিন হাজার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দলের শৃঙ্খলা বজায় রেখে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করে আনা বেশ চ্যালেঞ্জের মনে করছে ক্ষমতাসীনরা। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রত্যেক পৌর সভার নির্বাচনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। উপজেলা ইউনিয়নের সম্মেলনের সাথে স্থানীয় সরকারের নির্বাচরে বেশ ব্যস্ত থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নতুন বছরে আরও কঠোর থাকার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গত বছরের শেষ দিকে দুই জেলার চারজন শীর্ষ নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছে তারা। অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে আগের বিদ্রোহীদের এবার আর মনোনয়ন না দেয়ার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও কঠোর থাকবে আওয়ামী লীগ।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার পাশাপাশি জেলা-উপজেলা সম্মেলনে গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে জয় তুলে আনাও চ্যালেঞ্জ।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা সংগঠনকে আরও বেশি গতিশীল রাখার চেষ্টা করেছি। ভাস্কর্য ইস্যুতে মৌলবাদিদের ষড়যন্ত্র, সুশীল সমাজের নামে বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে। কোন ভাবেই রাজনীতির মাঠে ষড়যন্ত্রকারীদের জায়গা দেয়া হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।