পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানে প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনরত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীরা চার দিন পর অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছে। বুধবার রাতে শেরে বাংলানগরের ন্যাম ভবনস্থ ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বাসায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের নেতৃত্বে অনশনরত কর্মচারী নেতৃবৃন্দের বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দৈনিক ভিত্তিক ২২৪ জন কর্মচারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, যথাযথ তথ্যাদি উপস্থপন করতে পারলে এসব কর্মচারীদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ করা হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আন্দোলনরত কর্মচারীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। এসময়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বাসায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডশনের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ইয়াসিন, ইফার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাই মোল্যা,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি খাদিজা আক্তার,সহ সভাপতি লিমন শেখ, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, আলাউদ্দিন আল মামুন।
উল্লেখ্য, বিগত ১৪ মাস যাবত বেতন বন্ধ থাকায় ২২৪ জন দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আগারগাঁওস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে গত রোববার থেকে শীতের মাঝে টানা অনশন কর্মসূচি পালন করছিল। তারা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল। এ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত থাকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি আনিস মাহমুদ গত সোমবার থেকে দু’দিন অফিসে যাননি।
উল্লেখ্য, অডিট আপত্তির বেড়াজালে পড়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) ৩৫৯ কর্মচারী প্রায় ১৪ মাস যাবত বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। এসব কর্মচারী অনাহার অনিদ্রায় দিন কাটাচ্ছেন। বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় তাদের সন্তানদের পড়া লেখা বন্ধ হয়ে গেছে। বাসা ভাড়া ও দোকানের বাকি পরিশোধ কতে না পারায় এসব কর্মচারীর পারিবারিক জীবনে নানা অশান্তি দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইফার দ্বৈত নীতির কারণে কর্মচারীদের মাঝে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইফার দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ২২৪ জন কর্মচারী এবং রাজস্ব খাতের আওতায় ১৩৫ জন কর্মচারীর নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ বিধি অনুযায়ী না হওয়ায় সরকারের ১৪ কোটি ৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অডিট আপত্তির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বিগত ১৪ মাস যাবত এসব কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখেছে। অডিট আপত্তি ইফার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জালাল , অর্থ সচিব আফজাল উদ্দিনসহ অনেকেরই বিরুদ্ধে থাকলেও তাদের বেতন ভাতা চালু রাখা হয়েছে কি কারণে সেব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছে না। এছাড়া দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী ও রাজস্ব খাতের কর্মচারীদের অনেকেইর বেতন ভাতা গত ডিসেম্বর জানুয়ারি মাস পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছে। অডিট আপত্তির ইফার অনেক ড্রাইভারের বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হলেও তাদেরকে ওভার টাইম নিয়মিত দেয়া হচ্ছে। ইফা কর্তৃপক্ষের এমন দ্বিমুখী আচরণে অভিযুক্ত কর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস আগে এসব অসহায় কর্মচারী ইফার ডিজি ও সচিবের কাছে গিয়ে তাদের বেতন ভাতা চালুর অনুরোধ জানায়। মুজিববর্ষের আগেই তাদের বেতন ভাতা চালুর প্রতিশ্রুতি দেয়া হলে এখনো এ ব্যাপারে কোনো সুরাহা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।