Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পর্যটকে ভরপুর কক্সবাজার

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৯ এএম

করোনাভাইরাসের ভয় উপেক্ষা করে পর্যটকে ভরপুর এখন কক্সবাজার সৈকত। পর্যটন মৌসুমের পিক আওয়ার এই সময়। এ মাসে থাকে সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি। সাপ্তাহিক ছুটির সাথে নতুন বছরবরণ। আরো ছিল থার্টিফার্স্ট নাইটের উচ্ছাস।

এছাড়াও শীতের মৌসুম হওয়ায় পর্যটকদের বেড়ানোর কর্মসূচি থাকে বেশি। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে বিশেষ দিন ছাড়াও ডিসেম্বর মাসেই কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারো পর্যটক স্রোত নামে কক্সবাজারে। লকডাউন উঠে যাওয়ার কক্সবাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ভ্রমণ পিয়াসুরা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানসহ সবকটি এয়ারলাইন্স ও অর্ধশত পরিবহন সংস্থা রাতদিন বিরামহীনভাবে পর্যটক বহন করেছে গত এক সপ্তাহে। থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গত কয়েকদিন থেকে পর্যটকে টইটুম্বুর কক্সবাজার। বিস্তীর্ণ সৈকতসহ জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে দেখা গেছে হরেকরকম পর্যটকের সরব পদচারণা। কক্সবাজারের অর্ধডজন ৫ তারকা হোটেল থেকে শুরু করে ৫ শতাধিক সাধারণ হোটেল ও রেস্টহাউজ-গেস্টহাউজের কোথাও রুম খালি নেই। যারা আগে বুকিং না দিয়ে কক্সবাজার এসেছেন তারা পড়েছেন সমস্যায়। এদিকে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন ছুটির দিনগুলোতে শুধু ডিসেম্বর মাসেই প্রায় ১০ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করেছেন।

পাঁচতারকা হোটেল সীগালের সিইও ইমরুল হাসান রুমি বলেন, লকডাউনের পর এবারে কক্সবাজারে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আশা করছেন তারা। সীগাল হোটেলসহ পাঁচতারকা হোটেলগুলোতে যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো পর্যটক পাচ্ছেন তারা। তার মতে, কক্সবাজারের রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ভালো হওয়ায় পর্যটকরা কক্সবাজারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।

হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট-এর অফিসার কামরুল হাসান বলেন, করোনা সঙ্কটেও পর্যটক আসার স্রোতটা খুবই ভালো। হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস সমিতির নেতা হোটেল ডায়মন্ড স্বত্ত্বাধিকারী আবুল কাশেম সিকদার জানান, এবারের শুধু এক মাসেই ৫ লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণের আশা করছেন তারা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, পর্যটন এলাকায় তাদের পুলিশ সরব ভ‚মিকা পালন করে যাচ্ছেন। যাতে করে পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রমণ করতে পারন এবং কোন ধরনের হয়রানির শিকার যেন না হয়।

পুলিশ সুপার কক্সবাজার হাসানুজ্জামান বলেন, পুলিশের সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে কক্সবাজারের ৮ উপজেলাকে বিট পুলিশিং এর আওতায় আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে জনগণ এর সুফল পাচ্ছেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো পুলিশ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ সুপার বলেন, কক্সবাজারের স্থানীয় অধিবাসীদের উপর ১২ লাখ রোহিঙ্গা অবশ্যই একটি বড় বোঝা। এর উপর পর্যটন শহর হওয়ায় রয়েছে লাখ লাখ পর্যটকের চাপ। এখানে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়।

সমাজের বিভিন্ন স্তরে মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক আগে থেকেই। জনগণ যেহেতু পুলিশের মূলশক্তি। এ জন্য জনগণকে নিয়ে ব্যাপক ভিত্তিতে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে পুলিশ মাদক প্রতিরোধে ভ‚মিকা রেখে যাচ্ছে। পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের নিয়মিত অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বর থার্টিফাস্ট নাইটে পুলিশের সতর্কতা সম্পর্কে এসপি বলেন, এদিন কক্সবাজারে লাখ লাখ পর্যটকের সমাবেশ ঘটে। পুলিশ এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। এসময় বাইরে উন্মুক্ত স্থানে কোন সমাবেশ ও হৈ-হুল্লোড় করা যাবে না। এ বার্তা হোটেল-মোটেল ও পর্যটকদের মাঝে প্রচার করা হচ্ছে। যাতে আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতি হতে এমন কোন ঘটনা যেন না ঘটে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ