Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বর্ষ বরণে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড়

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৯ এএম

বিশ্বব্যাপী চলছে কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় ধাপ। মানুষের মাঝে অজানা আতঙ্ক। এ জন্য এ বছরে সাগরকণ্যা খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় থার্টিফার্স্ট নাইটে নেই কোনো আয়োজন। তারপরও বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় এবং নতুন সূর্যদয়কে বরণ করতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। সমুদ্রের ঢেউয়ে সাঁতার কাটাসহ দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত জুড়ে পর্যটকরা নেচে গেয়ে প্রিয়জনের সাথে উন্মাদনায় মেতেছেন। বাড়তি পর্যটকদের আনাগোনায় প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে কুয়াকাটায়। এদিকে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে টুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারে প্রশাসন তৎপর থাকলেও পর্যটকরা উদাসীন।

জানা যায়, সৈকতের জিরোপয়েন্ট, লেম্বুরচর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ারচর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, রাখাইনপল্লী এবং শুটকিপল্লীসহ দর্শনীয় স্পটে রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি। কেউ নিজের স্মার্ট ফোনে সেলফি তুলছে। আবার কেউবা গান, গল্প আড্ডায় মেতে রয়েছে। তবে এই সৈকতে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় জানাতে প্রতিবছর ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক।

এদিকে প্রতিবছর ইংরেজি পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয় হোটেল ও মোটেলগুলোকে। কিন্তু এ বছর তা চোখে পড়ছে না। তবে হোটেল-মোটেলে রুম বুকিং বেড়েছে। মহামারি করোনা কাটিয়ে একটি সুন্দর বছর পাওয়ার প্রত্যাশা করেছে স্থানীয় হোটেল মোটেল মালিক।

কুয়াকাটায় আসা নসুরুল আলম ও শিলভিয়া সাফা বলেন, এইতে ক’দিন আগে আমেদের বিয়ে হয়েছে। দু’জনের সিদ্ধান্ত ছিলো ২০২১ সালে প্রথম দিনটা কুয়াকাটা কাটাবো। তাই তো গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এখানে আসা। দুপুরে বিভিন্ন স্পর্ট ঘুরেছি। এখানকার পরিবেশ ভাল। রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে আসা পর্যটক সুমনা ইসলাম বলেন, এর আগেও কুয়াকাটায় এসেছি। এবছর ফ্যামিলিসহ নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এখানে এসেছি।

কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচলাক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে নেই কোনো আয়োজন। তারপরও ব্যাপক পর্যটকরে চাপ রয়েছে। আমারাও সাধ্যমত সেবা দিচ্ছি।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের এএসপি এমএম মিজানুর রহমান বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দর্শনীয় স্থানে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে। জিরোপয়েন্ট থেকে শুরু করে পূর্ব দিকে গঙ্গামতি, পশ্চিম দিকে লেম্বুরবন পর্যন্ত আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ থাকবে। মোবাইল টিম ও রেসকিউ টিমও নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ