বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট জিন্দাবাজারের বড় ভুইয়া সিদ্দিক প্লাজাস্থ পিজাহাট ও কেএফসি কর্তৃপক্ষ ৫৮ মাসে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার পজিশনের সত্বাধিকারী ডা. মো. রাহিদ নজরুল ইসলাম। মালিকের নিযুক্ত কেয়ারটেকার নাসিম আহমদ ভাড়া খুঁজতে গেলে পিজাহাট ও কেএফসির সিলেট আউটলেটের সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপক তাকে পুলিশের ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নাসিম আহমদ গত ২৭ শে ডিসেম্বর সিলেটের কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। ওই জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন- জিন্দাবাজারস্থ ‘বড় ভুঁইয়া সিদ্দিক প্লাজার’ ৬০ ভাগ অংশের সত্বাধিকারী হচ্ছেন ডা. মো. রাহিদ নজরুল ইসলাম। গত ২০১৩ সালের ২৬ শে ফ্রেব্রুয়ারি ট্রান্সকম গ্রুপের পক্ষে ডিরেক্টর আতিকুর রহমান ভবনের পজিশনের মালিকের কাছ থেকে ওই ৫৮৫০ বর্গফুট স্পেস মাসিক ৪ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া সাব্যস্তক্রমে ১০ বছরের জন্য ভাড়া নেন। এরপর থেকে ওই কোম্পানী ভাড়া করা পজিশনে পিজাহাট ও কেএফসির আউটলেটের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন- ‘রহস্যজনক কারনে ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ট্রান্সকম পুড লি. কর্তৃপক্ষ ৫৮ মাসের ভাড়া বাবদ ২ কোটি ৮৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করছে না। বকেয়া ওই বিশাল অঙ্কের ভাড়া পরিশোধের জন্য আইনজীবি সহ ভবনের পজিশনের মালিক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ওই কোম্পানীকে চিঠি, নোটিশ, লিগ্যান নোটিশ ও মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রেরন করা হয়। এরপরও তারা দীর্ঘ দিন ধরে ভাড়া পরিশোধ করছে না। এই অবস্থায় ইতিমধ্যে মালিকপক্ষ সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার সহ বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরন করেছেন। গত ৯ ডিসেম্বর বকেয়া ভাড়া পরিশোধের জন্য গ্রুপের পরিচালক বরাবর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
জিডিতে নাসিম হোসাইন উল্লেখ করেন- ‘গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তিনি বকেয়া ভাড়ার জন্য তাগাদা দিতে পিজাহাট ও কেএফসির সিলেটের ব্যবস্থাপকের কাছে গেলে তাকে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করা হয়েছে। এ সময় শাখা ব্যবস্থাপক হুমকি দিয়ে বলেন- ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে, ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না। পরবর্তীতে ভাড়া খুজতে গেলে আমাকে আটকে পুলিশের ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দেন।’
এদিকে- ২০১৯ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ সংক্রান্ত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভবনের ওই অংশের পজিশনের সত্বাধিকারী ডা. মো. রাহিদ নজরুল ইসলাম। ওই অভিযোগে তিনি দাবি করেন- ‘পিজাহাট ও কেএফসি ভাড়ার টাকা না দেওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছি। মাসিক ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় পিজাহাট ও কেএফসি ডিফলন্ডার ভাড়াটিয়া হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তিনি বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিতে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।