পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদারীপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত মানহানির মামলায় গতকাল দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক জনাব এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ ২জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট । মামলায় জামিনপ্রাপ্ত অন্য আসামী হচ্ছেন দৈনিক ইনকিলাব এর পরিচালক (এডমিন এ্যান্ড মার্কেটিং) মো:আবদুল কাদের । চীফ জুডিসিয়াল আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ মামলার পুনার্ঙ্গ শুনানাী শেষে ৫হাজার টাকার বন্ডে ২জনকে জামিন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ ফ্রেব্রুয়ারী পরবর্তী শুনানীর জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।
সোয়া এগার টায় চীফ জডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ আদালতে উঠার পর মামলাটি শুনানীর জন্য বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। তখন দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন, ইনকিলাবের পরিচালক (এডমিন এ্যান্ড মার্কেটিং) আবদুল কাদের আদালতের ডকে ওঠেন। এ মামলার কারনে অনেক লোক দেশবরেন্য সম্পাদককে এক নজর দেখার জন্য আদালতে ভীড় জমায়। অনুমান সাড়ে ১১টার দিকে মামলাটি শুনানীর জন্য বিচারকের কাছে উপস্থাপন করার পর আসামীপক্ষের নিযু্িক্তয় আইনজীবি আবুল হাসান সোহেল,দৈনিক ইনকিলাবের মহামান্য হাইকোর্টের আদালতের প্রতিবেদক সৈয়দ আহমেদ গাজী এবং এডভোকেট আনোয়ারুল কবির বাবুল শুনানীতে অংশ নিয়ে বলেন , সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ওইশী খানের করোনা রির্পোট শুধু দেনিক ইনকিলাব নয় প্রথম আলো মানবজমিন যুগান্তরে অনলাইন র্ভাষনে এবং ঘটনার পরদিন মানবজমিন কাগজে প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর ৩০ জুলাই সাজাহান খানের পাঠানো প্রতিবাদ লিপি ছাপা হয়েছে।অথচ বাদীপক্ষ শুধুমাত্র দৈনিক ইনকিলাবকে দায়ী করে মাদারীপুর আদালতে মামলা করেছেন যাহা সত্যিই দু:খজনক । তাছাড়া যাদের মানহানী হয়েছে বলে আরজীতে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সে বা তার পরিবারের কোন লোক প্রকাশিত সংবাদে ক্ষতিগ্রস্থ মনে করিলে মামলা করতে পারতো অথচ তাদের কেউ মামলা করেনি বা মামলায় স্বাক্ষী হিসাবে অন্তভুক্ত হয়নি। সুতারাং বাদী ক্ষতিগ্রস্থ না হওয়ায় এ মামলা আইনত চলতে পারেনা বলে আসামীপক্ষের আইনজীবিরা শুনানীতে উল্লেখ করেন। এছাড়া আসামীপক্ষে মাদারীপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট মো: জাফর আলী মিয়া এডভোকেট হাওলাদার মো: মিজানুর রহমান এডভোকেট বোরহানুস সুলতান শুনানী অংশগ্রহন করে সহায়তা করেন।
উল্লেখ্য , সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য, মাদারীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের মেয়েকে নিয়ে মানহানীকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে এনে মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৩১ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া হাওলাদার
মামলার আরজীতে অভিযোগ করে বলা হয়, চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শাজাহান খানের একমাত্র মেয়ে ঐশী লন্ডন থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। করোনাভাইরাসের কারণে তিনি আর যেতে পারেননি। গত ২৬ জুলাই বিমানে ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল তার। এর দু’দিন আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আইসোলেশন সেন্টারে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করান তিনি। একদিন পর তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে আসে। কিন্তু ইমিগ্রেশনে যাচাইয়ের সময় অনলাইনে তাকে করোনাভাইরাস পজিটিভ হিসেবে দেখানো হয়।এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই শাজাহান খান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চান। পরে সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড রেটারেন্স সেন্টারের পরিচালক ভুলের দায় স্বীকার করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের ডাটা অপারেটরের ভুলের কারণে ওই সমস্যা তৈরি হয়। যার জন্য শাজাহান খান বা তার মেয়ে মোটেও দায়ী নন।২৮ জুলাই তার পত্রিকার সম্পাদকীয়তে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাজাহান খানকে নিয়ে অসত্য তথ্য লেখেন। পত্রিকাটি শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ‘করোনাভাইরাস সনদ জালিয়াতির’ অভিযোগ তোলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।