পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরো ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ১ হাজার ২৩৫ জন। গতকাল বুধবার সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ২৩৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জন হয়েছে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২২ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৫৩১ জন দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১ হাজার ৫০৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই সময়ে। এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জন হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৪তম অবস্থানে।
বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৮ কোটি ২০ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৭ লাখ ৯১ হাজারের ঘরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৬টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৪০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে, অর্থাৎ মোট ১৮০টি ল্যাবে ১৫ হাজার ২২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮২টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৬২টি। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ আর নারী ৬ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন। এদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১১ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ৪ জন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৫৩১ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৭৩৩ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৯৮ জন নারী। এদের মধ্যে ৪ হাজার ১০৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৯১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৮৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৭৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৫ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ১২৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪০৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৩৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৩০ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৭ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৩৮ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৬৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।