দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
উত্তর : হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত; রাসূল (সাঃ) বলেন ঃ ”নিশ্চয় ঈমান মদীনায় সেভাবে ফিরে আসবে যেভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে আসে।” (মুসলিম)
“আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেন; “মদীনার প্রবেশ পথ গুলোয় ফেরেশ্তারা পাহড়ায় নিয়োজিত রয়েছে। এখানে প্লেগ ও দাজ্জাল প্রবেশ করবে না।” (মুসলিম)
“মদীনা হলো হাঁপরের মতো, যা তার আবর্জনাকে দুর করে দেয় এবং ভালোটা স্পষ্ট হয়।” (মুসলিম)
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চয় ইব্রাহিম (আঃ) মক্কাকে হারাম ঘোষণা করে তার অধিবাসীদের জন্য দোয়া করেছেন। ইবরাহিম (আঃ) যেভাবে মক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন, আমি ও সেভাবে মদীনাকে হারাম ঘোষণা করছি। আর ইব্রাহিম মক্কাবাসীর জন্য যে ভাবে দোয়া করেছেন, সেভাবে আমিও এখানকার মুদ ও সা’ এর মধ্যে দ্বিগুণ বরকতের দোয়া করছি।” (মুসলিম)
আরও বলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি মক্কায় যে বরকত দিয়েছেন মদীনায় তার চেয়ে দ্বিগুণ বরকত দিন।’ (বোখারী)।
আনাস (রাঃ) বলেন; “নবী (সাঃ) সফর শেষে ফিরার পথে যখন মদীনার প্রাচীর গুলোর দিকে তাকাতেন, তখন তিনি এর ভালোবাসায় তাঁর বাহন উষ্ট্রীকে দ্রুত হাঁকাতেন। যদি অন্য কোন জন্তুর ওপর থাকতেন তাকেও দ্রুত হাঁকাতেন। (বোখারী)
তাবুক থেকে ফেরার পথে মদীনা দৃষ্টি গোচর হলে বলতেন, “এটা হচ্ছে তাবাহ্, আর এটা হচ্ছে উহুদ। উহুদ হচ্ছে এমন পাহাড় যে আমাদের ভালোবাসে, আমরাও তাকে ভালোবাসি।” (মুসলিম)
বলতেন, “যার পক্ষে সম্ভব সে যেন মদীনায় মৃত্যুবরণ করে। কেননা এখানে মৃত্যুবরণকারীদের জন্য আমি সুপারিশ করব।” (তিরমিজি)
শায়খ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান বুআইজান বলেছেন ঃ রাসূল (সাঃ) -এর সঙ্গে তাঁর মৃত্যুর পর আদব রক্ষা করার বিষয়টি তাঁর সঙ্গে জীবদ্দশায় আদব রক্ষা করার মতোই।” (সূরা হুজরাত-১-৫) (আদব ও শিষ্টাচার)
আল্লামা তকী উছ্মানী তার বইয়ে লিখেছেন ঃ
প্রেমিক; প্রেমের গভীরতার জ্ঞানে যা বলতে সাহস দেখায় এক আলেম তা পারেন না নবী প্রেমিক ইমাম মালেক এর মতেঃ মসজিদে হারামের চেয়ে মসজিদে নব্বীতে নামাজ পড়া উত্তম।” (দ্রঃ দরসে-তিরমিযী-২/১১১)
রাসূল (সাঃ) নিজে দোয়া করতেন, “হে আল্লাহ! আমার ইন্তেকাল যেন পবিত্র মদীনায় হয়।” তাঁর এ ভালোবাসা তাঁর ওফাতের পরও যে রয়ে গেছে তা এক হাদীস হতে বুঝা যায়। তিনি বলেছেন, “কিয়ামতের ময়দানে সর্বপ্রথম আমার শাফায়াত লাভ করবে মদীনা বাসিগণ।”
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত; “রাসূলে করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেনঃ কেয়ামতের সময় পৃথিবীর ধ্বংসক্রিয়া চলাকালে মদীনা মনোওয়ারা সবচেয়ে পরে ধ্বংস হবে।” (তিরমিজী) মদীনায় রয়েছে সেই মহান সত্তা যার ওছিলায় সমদুয় রহমত প্রদান ও বন্টন করা হয় এবং এবাদত কবুল হয়। মদীনায় এসে রওজাপাকে সালাম দিলে উত্তর পাওয়া যায় এবং রওজার পার্শ্বে দোয়া কবুল হয়। রাসুল (সাঃ) তাঁর পবিত্র জীবনে মক্কায় কেন কোন মসজিদ নির্মাণ করেন নাই? কেন মক্কার চেয়ে মদীনাকে বেশী ভালোবেসেছেন এর মাঝে রয়েছে মারেফাত আর মোহাম্মদী আর ইব্রাহিমীর পার্থক্য। মক্কার সাথে আমাদের শরীয়তি সম্পর্ক। আর মদীনার সাথে ঈমান প্রেম কলেমা ও মুক্তির সম্পর্ক। তাই, মদীনায় যেয়ে উম্মতে মোহাম্মদীর প্রেমিকগণ যে শান্তি পান মক্কায় তা পান না। আসুন, আমরা সবাই মদীনা মুখী হয়ে যাই।
উত্তর দিচ্ছেন : নাজীর আহ্মদ জীবন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।