রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দশ বছর বয়স থেকেই আশরাফুল ইসলাম বাবলু নামের এক মেধাবী ছাত্র ২ পায়ে ভরদিয়ে হাটতে পারে না। তারপরও মনোবল না হারিয়ে নিজের ইচ্ছা ও অদম্য সাহস নিয়ে ৩ চাকার হুইল চেয়ারে বসে তা দু’হাতের সাহায্যে চালিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিয়েছে উচ্চত্বর ডিগ্রি।
জীবনে স্বপ্ন ছিল স্বাভাবিক অন্য দশজনের মতো উচ্চত্বর ডিগ্রি নিয়ে করবে ভালো চাকরি। মানব সেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করবে। ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের মৃত নাসিরুদ্দিনের ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম বাবলু নামের এক যুবক।
প্রায় ১০ বছর বয়স থেকেই নিয়তি তাকে বসিয়ে দিয়েছে হুইল চেয়ারে। পঙ্গু হয়ে কেটে গেল প্রায় ২০ বছর। উচ্চ শিক্ষিত হয়েও হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে না পারায় খোঁজে পাচ্ছে না কোন চাকরি বা কর্মক্ষেত্র। পরিবারের ভরণপোষণে একটি চাকরি জরুরি প্রয়োজন। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সুফল পায়নি। অবশেষে কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে মুদি দোকানদারী। বর্তমানে দোকানের জায়গা টুকুও চলে যাওয়ার পথে।
বাবলু বলেন, ১৯৯৫ সালে নিজ বাড়িতে গাছ থেকে পড়ে তার কোমড় থেকে দেহের নিচের অংশ অবস হয়ে পঙ্গু হয়ে যায়। সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসা নিয়ে কোন রকমে সুস্থ হয়। পরবর্তীতে যশোরের ‘আশার বাড়ি’ নামক খৃস্টান মিশনারীদের একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে চিকিৎসা নেন এবং সেখান থেকেই কৃতিত্বের সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। এরপর মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিবিএস (অনার্স) ও যশোর সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
পঙ্গুত্বের কারণে কেউ একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়নি। শুধু আশার বাণীই শুনে যাচ্ছি। আর সেই সুযোগ আমার তার জীবনে এখনো আসেনি। কবে আসবে তাও জানে না।
প্রতিবন্ধী হিসেবে অন্তত একটি গার্মেন্টসে চাকরি পেলেও জীবনের সব কষ্ট ভুলে থাকতো বলে বাবলু জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।