বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিগত পৌরসভা নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: শফিুকুল ইসলাম হবিকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় বিশৃংখলা বাড়ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাইরে। এতে নাখোশ আওয়ামী নেতা-কর্মীদের চাপা ক্ষোভ নির্বাচনী পরিমন্ডলে বৈরী আবহাওয়ার সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ডিসেম্বর) দুপুরে গৌরীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে গতবারের বিদ্রোহী প্রার্থীর নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন আ’লীগের দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা হলেন- আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি এবং সাদেকুর রহমান সেলিম। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্টিত গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে শফিকুল ইসলাম হবি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতিকে নির্বাচন করে ৪১৫০ ভোট পায়। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ৩ প্রার্থীর মধ্যে প্রাপ্ত ভোটে শফিকুল ইসলাম হবি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। ওই নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে বিদ্রোহী প্রার্থী হবির এজেন্ট নিযুক্ত ছিল এবং পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ কেন্দ্রে ৬০১ ভোট পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হবি বিজয়ী হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে যখন বিদ্রোহী কোন প্রার্থীকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে গৌরীপুরে বিদ্রোহী প্রার্থীকে নৌকার মনোনয়ন মানতে পারছে না আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। আশা করছি বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আওয়ামী পরিবারের যে কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হলে দলের ঐক্য আরো সুদৃঢ় হবে, নিশ্চিত হবে নৌকার বিজয়।
সূত্র জানায়, গত রবিবার রাতে গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে শফিকুল ইসলাম হবির নাম ঘোষনার পরপরই স্থানীয় আওয়ামীলীগে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ এগিয়ে আসলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন সংশ্লিষ্ট থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই গৌরীপুর থানার এসআই মাইনুল রেজা বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছেন। ফলে যে কোন সময় মনোনয়ন ইস্যুতে নির্বাচনী মাঠে আবারও কোন বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।