পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিল্প মাধ্যমে গ্রামীণ আবহ ও প্রকৃতির বৈচিত্র অনুসন্ধানী চিত্রশিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীরের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। একুশে পদকজয়ী এই শিল্পী ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। সৈয়দ জাহাঙ্গীর ১৯৩৫ সালের ৪ নভেম্বর সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে শিল্পকলার চর্চার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মন্ডলে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
করোনা মহামারির কারণে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও পারিবারিকভাবে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে মরহুমের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। সৈয়দ জাহাঙ্গীরের হাত ধরেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগ চালু হয়। তিনি এ দেশের শিল্প মাধ্যমে গ্রামীণ আবহ ও প্রকৃতির বৈচিত্র অনুসন্ধান এবং উপস্থাপনায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন। তার শিল্পকর্মে শক্তিশালী চরিত্র হিসাবে উঠে এসেছে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ, বাংলার মাটি ও প্রকৃতি। প্রকৃতি এবং ঋতু পরিবর্তন তাঁর শিল্পকর্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাঁর বিখ্যাত প্রদর্শনী ও সিরিজের মধ্যে রয়েছে-‘আত্মার উজ্জীবন’, ‘উল্লাস’, ‘ধ্বনি’, ‘অজানা অন্বেষা’। প্রায় ২২ বছর পেশাদার চিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করার পর সৈয়দ জাহাঙ্গীর ১৯৭৭ সালে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পকলা বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সৈয়দ জাহাঙ্গীর ১৯৮৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৯২ সালে চারুশিল্পী সংসদ তাঁকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। ২০০০ সালে মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার এবং ২০০৫ সালে শশীভূষণ সম্মাননা অর্জন করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।