পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাকালেও নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা প্রতি মাসে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। তাদের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছররের জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে শুধুমাত্র নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ১৮ হাজার ২২১টি। এটি উদ্বেগের বিষয় বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতনের বর্তমান প্রেক্ষাপট ২০২০: বিশ্লেষণ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সালমা আলী বলেন, সা¤প্রতিক সময়ে করোনার কারণে নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা প্রতি মাসে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে সারা বিশ্বব্যাপী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতার রূপ পরিবর্তিত হচ্ছে। এই সহিংসতার প্রধান শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের নারী ও শিশুরা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ১১টি সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। সুপারিশ গুলো হচ্ছে- ধর্ষণের মুখোমুখি নারী ও শিশুদের জন্য সার্বিক আইনি সহযোগিতার ব্যবস্থা কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করা। দ্রুত বিচার এবং সাক্ষী সুরক্ষার পাশাপাশি আধুনিক ফরেনসিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলাগুলোর যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করা। তদন্ত কাজ রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখতে হবে এবং আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সব স্তরে প্রশিক্ষিত কর্মী থাকতে হবে। উচ্চ আদালতে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত সব মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত বিচার সম্পন্নের জন্য পৃথক কোর্টের ব্যবস্থা করা। মানবপাচার সংক্রান্ত মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত বিচার সম্পন্নের জন্য ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের সামগ্রিক তথ্য ও উপাত্ত সংরক্ষণের জন্য যথাযথ মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। প্রান্তিক গোষ্ঠীর (প্রতিবন্ধী, হিজড়া) জন্য বৈষম্যহীন আইনি পরিষেবা নিশ্চিত করা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রম পরিদর্শকরা এবং অভিবাসন কর্মকর্তাসহ কর্মকর্তাদেরকে পাচারের মামলার শনাক্তকরণ এবং পরিষেবাগুলোতে প্রশিক্ষণ বাড়ানো। সকল কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকরী কমিটি গঠন করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০২০ সকল ধরনের ধর্ষণকে আইনের আওতাভুক্ত করার জন্য পেনিট্রেশন-এর একটি সংজ্ঞা যুক্ত করতে হবে, যাতে করে ধর্ষণের শিকার বা ধর্ষণ অপরাধের মধ্য দিয়ে যাওয়া ব্যক্তির যোনি, মলদ্বার বা মুখে যৌনাঙ্গ পেনিট্রেশনসহ বিভিন্ন বস্তুর বা অপরাধীর শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পেনিট্রেশন অন্তর্ভুক্ত হয় এবং সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য ধারা সংশোধনের মাধ্যমে ধর্ষণ মামলার বিচারে অভিযোগকারীর চরিত্রগত সাক্ষ্যের গ্রাহ্যতা বন্ধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।