Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মঠবাড়িয়ায় কৃষকদের মিছিল ও সমাবেশ

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

‘কৃষকদের দাবি মানতে হবে, গরু-ছাগল বাঁধতে হবে’ এই সেøাগান দিয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিরুখালীতে গতকাল সোমবার সকালে কৃষকরা মিছিল ও সমাবেশ করেছে। মিরুখালী গ্রামের গাবতলা থেকে সাবেক ইউপি সদস্য আ. লতিফ হাওলাদারের নেতৃত্বে মিছিলটি প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে ওয়াহেদাবাদ (নাপিতখালী) গ্রামে মো. হিরু হাওলাদারের বাড়ির সামনে সমাবেশ করে। মিছিলে এলাকার প্রায় শতাধিক প্রান্তিক কৃষক ও চাষি অংশ নেয়।

সমাবেশে সাবেক ইউপি সদস্য আ. লতিফ হাওলাদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কৃষক মিহির লাল রায় লালু, মো. হাবিবুর রহমান ও মো. মাঈন উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শুকনা মৌসুমে মাঠে ছেড়ে দেয়া গরু-ছাগল রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। আমন ধান ওঠার পর গরু-ছাগলের ক্ষতির ভয়ে অনেক কৃষক রবিশষ্য দেয় না। এ সময়ে কৃষকরা কর্মহীন হয়ে অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। গবাদি পশু বেঁধে পালন করলে ফসলের ক্ষেতে কৃষকরা বোরো ধান, মুগ, কলাই, ভূট্টা, সূর্যমুখিসহ বিভিন্ন রবিশষ্য চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবে। এত কৃষকের সাথে দেশও লাভবান হবে এবং অপরাধমূলক কর্মকান্ডও কমে যাবে। কৃষকরা পালিত গরু-ছাগল ছেড়ে না দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্রতি শুকনা মৌওসুমে গরু-ছাগলের ভয়ে উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায়। এটা দেশের জন্য বিরাট ক্ষতি। যদি গরু-ছাগল বেঁধে পালত করে, তবে এই ৮ হাজার হেক্টরেও কৃষকরা উম্মুক্তভাবে চাষাবাদ করেও আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ