Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই মাসেই উঠে যাচ্ছে পিচ

রামদয়াল-বিবিরহাট সড়ক

আমানত উল্যাহ, রামগতি (লক্ষীপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার রামদয়াল-বিবিরহাট সড়কটি নির্মাণের দুই মাসের মাথায় হাতের খোঁচাতেই ওঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ ঢালায়। উপজেলার রামদয়াল-বিবিরহাট সড়কের ৬ কি.মি. পাকাসড়ক দুই মাস পূর্বে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যায়ে সংস্কার কাজ করেন মেসার্স হাসান টেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণের দুই মাসের মাথায় সড়কের পিচ ঢালাই হাতের খোঁচাতেই ওঠে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সংস্কারকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসান টেডার্সের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, এই অঞ্চলে চলাচলকারী প্রায় ৬০ হাজার মানুষের একমাত্র সড়ক এটি। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। রামগতি উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) সঠিকভাবে তদারকি না করা এবং মোটা অঙ্কের কমিশন গ্রহণের কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা। এদিকে নির্মাণের পর থেকে কার্পেটিং ওঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গণপরিবহন চালকদের।

উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে রামদয়াল-বিবিরহাট সড়কের ৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই দরপত্রে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে মেসার্স হাসান ট্রেডার্সের পক্ষে রামগতি পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়ারেছ মোল্লাহ নামের এই নেতা কার্যাদেশ পায়। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের বিভিন্ন অংশের পিচ ঢালাই ওঠে যায় এবং ফাটল দেখা দেয়।

স্থানীয় রাসেদ, খুরশিদ আলম, রবিউল ইসলামসহ আরো অনেকে বলেন, মাত্র দুই মাসের মাথায় নতুন এই রাস্তার পিচ ঢালাই ওঠে যাচ্ছে। রাস্তায় পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন প্রয়োজন মতো বিটুমিন না দেয়া ও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার এবং বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তারা বাধাও দেন। কিন্তু ঠিকাদার ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার তাদের কথা না শুনে নিজেদের ইচ্ছামতো তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করেন। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। যার কারণে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসান ট্রেডার্সের পক্ষে কাজ সমাপ্তকারী স্থানীয় ঠিকাদার মো. আব্দুল ওয়ারেছ মোল্লাহ সড়কের এই সব অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, রামদায়ল-বিবিরহাট সড়কটি নির্মাণের সময় কাঁচা থাকায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এখন আবার মেরামত করা হবে।

এ সড়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত রামগতি উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুর রহিম বলেন, পিচ ঢালাই ওঠে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মেরামতের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। রামগতি উপজেলা প্রকৌশলী মহিউদ্দিন মাসুমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন বলেন, এই সড়কটি অনিয়মের বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ