পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর লন্ডভন্ড হয়েছে শিক্ষা সূচি। ১৮ মার্চ থেকেই বন্ধ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসএসসি, দাখিল ও সমমান ছাড়া অন্যকোন পরীক্ষা নিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানগুলো।
পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী, অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)- জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে অটো পাস। পরীক্ষা ছাড়াই পাস হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীরাও। তবে এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার কারণে এখনো দুশ্চিন্তায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী।
ডিসেম্বরের মধ্যেই এইচএসসি-আলিম পরীক্ষার ফল ঘোষণা করার কথা থাকলেও এখনো তা নিশ্চিত করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রণালয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরবর্তীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ক্লাসে ফিরতে পারবেন না। গরীর ঘরের হওয়ায় প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও কলেজ পড়–য়া ওই সব ছাত্রছাত্রী পরিবারকে আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে বিভিন্ন কাজে যোগ দিয়েছেন। কেউ কেউ কাজে যোগদেয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। পরিবারে অর্থনৈতিক অচ্ছলতার কারণে ঝড়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
গণস্বাক্ষরতা অভিযানের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত চারটি বড় ধরনের সংকটের পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। প্রথমত, করোনার কারণে বড়সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়তে পারে। অথচ ঝরে পড়া কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরাট সফলতা ছিল। দ্বিতীয়ত, ছেলেমেয়ে সবার ক্ষেত্রে শিশুশ্রম বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা মাঠে-ময়দানে দেখতে পাচ্ছি, আয়নিরাপত্তা ও খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ার কারণে বিরাট জনগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে তাদের সন্তানদের শিক্ষার বদলে শিশুশ্রমে নিযুক্ত করছে। এই শিশুশ্রমও কিন্তু অনেকখানি আমাদের লাগামের মধ্যে চলে এসেছিল। করোনার প্রভাবে সেটি আবার লাগামহীন হয়ে যেতে পারে। তৃতীয়ত, বাল্যবিবাহের হার বাড়তে পারে। এমনিতে বাংলাদেশ বাল্যবিবাহের দিক দিয়ে ঝুঁকিপ্রবণ একটি দেশ। এটির লাগাম কিছুটা হলেও টেনে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে সেটি বাঁধভাঙা স্রোতের মতো ভেসে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ছাত্রীরাই বেশি ঝুঁকিতে আছে। চতুর্থত, অপুষ্টি আরও বাড়তে পারে। এ বিষয়ে আগে থেকেই বাংলাদেশ ঝুঁকিতে ছিল।
এইচএসসির ‘অটোপাস’ ফল ঘোষণা না হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও দেখা দিয়েছে দ্বিধা। ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণে সম্মত হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত চার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর গুচ্ছ পদ্ধতিতে যেতে চায় না। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) স্বতন্ত্রভাবেই ভর্তি পরীক্ষা নেবে শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাওয়ার সুযোগ নেই।
শিক্ষামন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে সবাই: এইচএসসি-আলিম পরীক্ষার ফল প্রকাশসহ শিক্ষা কার্যক্রমের নানা ইস্যুতেই যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এ অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। আগামী কাল মঙ্গলবার এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলনের দিকেই এখন তাকিয়ে আছে সবাই। ফল প্রত্যাশীদের প্রত্যাশা পরীক্ষার ফলাফল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরবেন। কারণ বছরজুড়ে ক্লাস পরীক্ষা না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আগামী বছরের এসএসসি-দাখিল ও এইচএসসি-আলিম পরীক্ষার্থীরাও। প্রয়োজনীয় সিলেবাস শেষ না হলেও রুটিন অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতেই এসএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বেড়েছে সেশন জট, আবার শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা না হওয়ায় চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লাখ লাখ শিক্ষার্থী।
বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে করোনার মধ্যেই পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও হল বন্ধ রেখে পরীক্ষার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া হল খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
চূড়ান্ত হয়নি মূল্যায়ন পদ্ধতি: এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে জেএসসি-জেডিসি ও এসএসসি-এইচএসসি ফলের ভিত্তিতে এই পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সাত সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে একটি নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে জমা দিবে, তাদের পরামর্শেই ফলাফল তৈরি করার কথা।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম আমিরুল ইসলাম জানান, তাদের হাতে এখন পর্যন্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির নীতিমালা আসেনি। তবে আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে। তিনি বলেন, কমিটি আমাদেরকে চূড়ান্ত কিছু না জানালেও কিছুটা ধারণা পেয়েছি সে অনুযায়ী প্রোগ্রামিং করা আছে। পদ্ধতিটা কি হবে সেটা হাতে পেলে বেশি সময় লাগবে না।
এদিকে ফলাফল তৈরির সাথে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মূল্যায়ন পদ্ধতি ছাড়াও বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি কাজ করছে। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে ছিল এবং এইচএসসি পর্যায়ে মানবিক বিভাগে ভর্তি হয়েছে। তাদের মূল্যায়ন কিভাবে হবে তা ঠিক করতে পারেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা কঠিন। জেএসসি-এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ণ করলে পরবর্তীতে তাদের একাডেমিক ক্ষেত্রে নানাভাবেই প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী যে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে ছিল কিন্তু এইচএসসিতে মানবিকে ভর্তি হয়েছে তাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবো? কারণ দুটি বিভাগের বিষয় তো ভিন্ন।
উচ্চমাধ্যমিকের এই ফলাফল কতদিনে প্রকাশ করা হবে? কিংবা কাজের অগ্রগতি কতদূর তা জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ঘোষণা দিয়েছেন ডিসেম্বরে ফল প্রকাশ করা হবে। আমরা এখনো চেষ্টা করছি তার ঘোষিত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করার। তবে পুরো বিষয়টিই টেকনিক্যাল। আমাদের টেকনিক্যাল টিম আশ্বস্ত করেছে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারবে।
এদিকে এক মাস পরেই নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী পরবর্তী বছরের এসএসসি-দাখিল পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো এসব শ্রেণির সিলেবাস পড়ানো হয়নি। অনলাইনে ক্লাস হলেও তা নিয়ে রয়েছে অসন্তোষ এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীই ছিল এই সুবিধার বাইরে। তাদের পরীক্ষার বিষয়ে কি হবে জানতে চাইলে নেহাল আহমেদ বলেন, তাদের অনলাইনে ক্লাস চলছে। তবে করোনার ঝুঁকিসহ নানা বিষয় বিবেচনা করতে হচ্ছে। এই পরীক্ষার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।
বিভাগ পরিবর্তন বাতিলে ভর্তিচ্ছুদের ক্ষোভ: দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে সম্মত হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে ভর্তি হওয়ার বা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় আসার জন্য গুচ্ছ পদ্ধতিতে পৃথক কোনো ইউনিট রাখা হয়নি। ভর্তিচ্ছুদের দাবি, বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হোক। এ দাবিতে রাজধানী ঢাকা, বরিশাল শহরসহ বেশ কিছু জায়গায় ভর্তিচ্ছুরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
জানা গেছে, ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত ভিসিদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রে এই ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নেওয়া হবে। তবে এতে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা ইউনিট থাকবে না। স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট থাকলেও ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় সেই সুযোগ থাকছে না। এ জন্য বিপাকে পড়েছেন দুই বছর ধরে দ্বিতীয় দফায় প্রস্তুতি নেওয়া ভর্তিচ্ছুরা।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান বলেন, ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা কোনো ইউনিট থাকছে না। ফলে নিজ নিজ বিভাগ থেকে পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে।
হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা: করোনার কারণে বছরব্যাপীই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ। এতে বিপাকে পড়েছেন অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। চূড়ান্ত পরীক্ষা না হওয়ায় চাকরিতে আবেদন করতে পারছেনা তারা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হল বন্ধ রেখে শুধু অনার্স ও মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা বন্ধ রেখে পরীক্ষা গ্রহণ করার সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলো। বরং পরীক্ষার্থীদের জন্য সীমিত আকারে হল খুলে দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে তারা। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, হল খোলা কোনভাবেই সম্ভব না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। হল খুলতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবুজ সঙ্কেত প্রয়োজন। তা নাহলে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিতে পারে না।
এদিকে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মতো অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরাও সেশন জটে পড়েছেন। শিক্ষা জীবন থমকে আছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরাও। যদিও শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভূক্ত ৭ কলেজের স্থগিত থাকা বিভিন্ন পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে ৭ কলেজের সমন্বয়কারী আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
ভর্তি শুরু প্রাথমিকে:শিক্ষার্থী পাচ্ছে না কিন্ডারগার্টেন: করোনায় একটি বছর পার হলেও জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। তাই প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তি চলছে শিশু শিক্ষার্থীদের। মহামারীর কারণে এবার পরীক্ষার পরিবর্তে লটারিতে ভর্তি চলছে তাদের। নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির এই মৌসুমে সরকারি প্রাথমিক ও নামিদামি বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভিড় থাকলেও শিক্ষার্থী খুঁজে পাচ্ছে না কিন্ডার গার্টেনগুলো। এমনকি টিউশন ফি পরিশোধের ভয়ে যোগাযোগ রাখছেন না আগের শিক্ষার্থীর অভিভাবকরাও। ফলে বছর শেষ হতে চললেও দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানা যায়, অভিভাবকরা সাধারণত বাড়ির কাছাকাছি ভালো কিন্ডারগার্টেনে তাঁদের সন্তানদের ভর্তি করান। সাড়ে তিন থেকে চার বছর বয়স হলেও প্লে শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেন। এরপর নার্সারি ও কেজি শ্রেণিতে পড়ার পর নামি-দামি স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিযুদ্ধে নামেন। ফলে কিন্ডারগার্টেনগুলোর ওপরের শ্রেণিতে শিক্ষার্থী কম থাকলেও প্রথম শ্রেণির আগের তিনটি শ্রেণিতে ভরপুর শিক্ষার্থী থাকে। এমনকি অনেক কিন্ডারগার্টেনে ডিসেম্বর এলেই সিটও পাওয়া যায় না। কিন্তু এবার তার ভিন্ন চিত্র।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এরই মধ্যে দুই হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। যাদের নিজেদের পুঁজি ছিল, তারা তা ভেঙে কোনো রকমে স্কুল টিকিয়ে রেখেছে। এখন ডিসেম্বর মাস চলছে; কিন্তু শিক্ষার্থীর দেখা মিলছে না। কেউ ভর্তির তথ্য জানতেও আসছে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমাদের বাঁচান। অন্তত এক মাসের জন্য হলেও স্কুল খুলে দিন। আমরা ক্লাস-পরীক্ষা কিছুই নেব না। শুধু ভর্তি কার্যক্রমটা চালাই, যাতে আগামী বছর যেন কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো টিকে থাকতে পারে। ১০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী জীবন ধারণ করতে পারেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।