Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নন্দীগ্রামে গৃহহীন পুনর্বাসনে অনিয়মের অভিযোগ

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভ‚মি-বাড়ি নেই এমন পরিবারগুলো দুর্যোগ সহনীয় সরকারি ঘর অধিকার রাখলেও উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের ভ‚মিহীনের তালিকায় অনিয়ম করা হয়েছে।

আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়ে স্বাবলম্বী ব্যক্তিদের তালিকা প্রনয়ণ করে বাস্তবায়ন করার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতার, ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন সহকারি ভ‚মি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভাটরা গ্রামের মোহাম্মদ আলী আকন্দ নামের একজন। একই বিষয়ে ওইদিনই বগুড়া জেলা প্রশাসকের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে প্রথম পর্যায়ে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন কাজ চলমান রয়েছে। এতে গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমি দিয়ে ঘর তৈরি করে দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন আওতায় উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নে ১৪টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। ৬নং ওয়ার্ডের রঞ্জয় তেঘর মৌজার কামারপুকুর ও দোপুকুরিয়া মৌজার পুরানপুকুর এলাকায় গত নভেম্বর মাস থেকে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

উপজেলা এসিল্যান্ড নুরুল ইসলাম বলেন, ভ‚মি-বাড়ি নেই এমন পরিবারগুলো ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাবেন বলে উল্লেখ করলেও বাস্তবে তা করা হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আলী তার লিখিত অভিযোগে অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রকৃত ভ‚মিহীনদের বাদ নিয়ে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ব্যক্তিদের তালিকা করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া ১৪ পরিবারের প্রায় প্রত্যেকেরই জায়গা-বাড়ি থাকা সত্বেও সুবিধা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে প্রকৃত ভ‚মিহীনদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাটরা গ্রামের ইউনুস আলীর জায়গা-বাড়ি থাকা সত্বেও তালিকায় তার নাম রয়েছে। তবে সরকারি ঘর নেয়ার জন্য তিনি নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে উঠেছেন। ভ‚মিহীন থাকার নাটক সাজিয়ে লোক দেখানো অভিনয় করছেন রঞ্জয়তেঘর গ্রামের নাবিউলসহ আরও কয়েকজন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা কাউকে চিনি না। তালিকা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তিনিই এর জবাব দেবেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন আখতার বলেন, যাচাই-বাছাই করেই তালিকা হয়েছে। তারপরেও যদি অনিয়ম হয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ