Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাণীনগরে ইটের প্রাচীরে ২১মাস অবরুদ্ধ এক পরিবার, অন্যের বাড়িতে বসবাস

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:১০ পিএম

নওগাঁর রাণীনগরে প্রায় ২১মাস ধরে নিজ বসত বাড়িতে ঢুকতে না পেরে পরিবার নিয়ে অন্যের বাড়িতে বসবাস করছে এক অসহায় পরিবার। বৃদ্ধ দাদীসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছে রিপন উদ্দিন শাহ। বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়ে বিচার না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ্য ওই পরিবারের সদস্যরা একযোগে আত্নহত্যা করার পথ বেছে নিতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঘোষগ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে রিপন উদ্দিন শাহ্ ঘোষগ্রাম মৌজার ৪৮২খতিয়ানে ৬১৬দাগের তার পৈত্রিক সম্পত্তির ৩১কাতে ৩শতক জমির উপরে প্রায় ১০বছর আগে টিন দিয়ে বাড়ি তৈরি করে। বাকি জায়গায় নানান জাতের গাছপালা লাগিয়ে তার পরিবার ও বৃদ্ধ দাদীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলো। তার দাদী আম্বিয়া বেগম জীবনদশায় নাতী রিপন ও তার বোনদের গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭সালে রাণীনগর সাব-রেজিস্টার অফিসে ৫১৯৩ নং দলিল মূলে ৩ শতক জমি লিখে দেন। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল ও বসবাসের এক পর্যায়ে গত বছরের মার্চ মাসে রিপন শাহ্ তার পরিবারসহ আত্নীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এই সুয়োগে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক স্থানীয় প্রভাবশালী জিয়ার উদ্দিনের ছেলে আব্দুল বারিক সরদার তার ভাড়াটিয়ে লোকজন নিয়ে রিপনের বসত বাড়ির চারিদিকে ৫থেকে ৭ফিট উঁচু করে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলেন। এক কাপড়ে বের হওয়া রিপন মই দিয়ে প্রাচীর টপকিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলেও চারিদিকে ইটের প্রাচীর অবরুদ্ধ থাকায় তার নিজ বাড়িঘর ছেড়ে স্বজনদের নিয়ে অন্যের বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

ভুক্তভুগি রিপন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিক ভাবে জানালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বারিক উদ্দিনকে তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ডেকে পাঠায়। কিন্তু তার ডাকে উপস্থিত না হয়ে বহিরাগত লোকজন নিয়ে প্রাচীরটি আরো মজবুত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। রিপনের পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়ে মানবিক আর্তনাত করেও অদ্যবদি কোনো ফলাফল না পেয়ে স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীদের জানালে তারা ঘটনা স্থলে গেলে প্রভাবশালী বারিকের লোকজনরা ওই পরিবারে সদ্যসদের উপর চরাও হয়। এমনকি তারা স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধামকীও প্রদান করে।

প্রভাবশালী আব্দুল বারিক সরদারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মামুন জানান, বিষয়টি জানার পর আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বারিক উদ্দিনকে জমির কাগজপত্র নিয়ে আসতে বললেও বারিক আসেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ