বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ-আলীম মাদরাসায় সহকারী অধ্যাপক পদ পূনর্বহাল করে শতভাগ পদোন্নতি সহ ৫ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেছে কলেজ শিক্ষক পরিষদ সিলেট।
আজ (রবিবার) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে দিনব্যাপী পালিত হয় এ অবস্থান কর্মসূচী। সংগঠনের সভাপতি জ্যোতিষ মজুমদারের সভাপতিত্ব ও সহ সভাপতি এম এ মতিন ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল আনাম চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত অবস্থান কর্মসূচিতে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, এমপিওভূক্ত শিক্ষকরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ৯৭% অবদান রাখলেও তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারি কলেজের প্রভাষকরা সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেও এমপিওভূক্ত কলেজের প্রভাষকরা সারাজীবনে একটি মাত্র পদোন্নতি লাভ করেন সহকারী অধ্যাপক পদে। কিন্তু অনুপাত (৫:২) নামক কালো আইনের ফলে ৭২% প্রভাষককে কোন পদোন্নতি ছাড়া একই পদে আজীবন থেকে অবসরে যেতে হয়। তার উপর গত ২৩ নভেম্বর মাদরাসা ও কারিগরির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধনীতে উচ্চ মাধ্যমিক/ আলিম পর্যায়ে১৯৮০ থেকে বিদ্যমান ’সহকারী অধ্যাপক’ পদ বিলুপ্ত করে ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ নামক পদ করা হয়েছে সৃষ্টি। শুধু তাই নয়, পূর্বে অভিজ্ঞ প্রভাষকরা অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ পেলেও ২০১৮ এর নীতিমালায় এ সুযোগটা ও নেওয়া হয়েছে কেড়ে। বক্তারা উচ্চ মাধ্যমিক-ডিগ্রি বিভাজন ছাড়া ৮ বছর পর সকল প্রভাষককে পদোন্নতির বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত চুড়ান্ত করণের দাবি জানান প্রতিবাদীরা। তারা এমপিওভূক্ত কলেজ-মাদ্রাসায় সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ সৃষ্টি, পূর্বের ন্যায় প্রভাষকদের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ প্রদান, উচ্চতর স্কেল-পদোন্নতির ক্ষেত্রে অর্জিত ইনক্রিমেন্ট যুক্তকরণ সহ মুজিব বর্ষে সকল এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানান।
বক্তব্য প্রদান করেন, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর কুমার দাস, সহ সভাপতি কামরুজ্জামান চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, শাহজাহান কবির আকন্দ, সহ সাধারণ সম্পাদক ছয়ফুল আমিন, শান্ত ভট্টাচার্য, সুব্রত রায়, শেখ মাসুক আহমদ, আলকাবুর রহমান, সুমন কুমার চন্দ, সজল আচার্য, মো. ফয়ছল মিয়া, বনানী পাল, ফাহিমা বেগম, তরিকুল ইসলাম, নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, বাকবিশিস নেতা অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মো. জামাল হোসেন, বাকশিস নেতা অধ্যাপক আব্দুল জলিল, অধ্যাপক মাধব রায়, বাবেশিকফো নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, বাহার উদ্দিন আকন্দ, কমলকান্ত রায় চৌধুরী, কাওছার উদ্দিন, সকশিস এর কেন্দ্রীয় নেতা দীপু গোপ, জয়নুল ইসলাম, অসীম কুমার তালুকদার, পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষক সমাজের মোহাম্মদ আলী চৌধুরী তারিক, বাশিস নেতা দেলোয়ার হোসেন মাসুম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।