পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জানুয়ারি শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই দেশে ভ্যাকসিন চলে আসবে। আগামী ৬ মাসে পর্যায়ক্রমে দেশের ৩ কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। এই ভ্যাকসিন মানুষের কাছে সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য সরকারের যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবে যা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, আমাদের জনসংখ্যার যারা ১৮ বছরের নিচে তারা কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে না, যা প্রায় ৪০ শতাংশ। পৃথিবীর কোথাও তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে না এবং তাদের ট্রায়ালও হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এক কোটি লোক দেশের বাইরে থাকে। তাতে আমাদের হিসাবে আছে, প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে না। আর যে ভ্যাকসিন দেয়া হবে সেটাও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। কাজেই গ্যাপ (জনসংখ্যা বাকি) বেশি থাকছে না, যেটুকু থাকছে সেটুকুও আমরা পর্যায়ক্রমে পূরণ করে ফেলব।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে মহাখালীস্থ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে ২টি ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে মিডিয়া ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে, ভ্যাকসিন রাখার স্টোর প্রস্তুত করা হয়েছে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে কোল্ডবক্স ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। কিভাবে ভ্যাকসিন দেয়া হবে তার জন্য একটি গাইডলাইনও প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা ভ্যাকসিন প্রদানে সরকারের সমালোচনা করছে তারা সঠিক তথ্য না জেনেই কথা বলছে।
ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন নেয়ার পাশাপাশি বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন পাওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আগামী মে-জুন মাসের দিকে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। চলমান অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের পাশাপাশি কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন চলে এলে দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই ভ্যাকসিন প্রাপ্তি ঘটবে।
১৮ বছরের নিচে, প্রেগন্যান্ট মহিলা ও বিদেশে থাকা নাগরিকদের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বর্তমানে ১৮ বছরের নিচে রয়েছে প্রায় ৩৭ ভাগ মানুষ, ৩০ লাখের মতো মহিলা গর্ভবর্তী এবং প্রায় কোটি মানুষ বিদেশে থাকায় অক্সফোর্ড ও কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন দিয়ে দেশের প্রায় সব মানুষেরই ভ্যাকসিন প্রাপ্তি ঘটবে। তবে, এসব কিছুর পরও মানুষকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করা অব্যাহত রাখতে হবে।
ব্রিফিংকালে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপে বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখ করে বলেন, কোভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশ যে সফল হয়েছে সে কথা এখন কেবল আমরা নয়, খোদ আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ গত ৪-৫ মাসের বিশ^ব্যাপি কোভিড জরিপ শেষে বাংলাদেশকে কোভিড মোকাবেলায় ২০তম হিসেবে ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এক নম্বর দেশ হিসেবে কৃতিত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট স্বীকৃতি। এই জরিপ খোদ আমেরিকাই রয়েছে ৪০তম অবস্থানে, ইউকে রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান অনুযায়ীÑ ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, শ্রীলংকা, মায়ানমার এই দেশগুলিরও উপরে রয়েছে। এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, এই কৃতিত্ব দেশের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের, এই কৃতিত্ব মিডিয়াসহ সকল করোনা যোদ্ধাদের।
এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির ভ্যাকসিন উইং ও ড্রাগ টেস্টিং উইং’র আর্ট অফ এক্সিলেন্স অফ টেস্টিং ফ্যাসিলিটি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে দুটি ল্যাব দেখেছি। একটি ওষুধের আর একটি ভ্যাকসিনের। আমাদের যে ওষুধের ল্যাব আছে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিয়েছে।
সেই অনুমোদনের ফলে আমাদের ল্যাব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এখানে আমাদের যত ওষুধ কোম্পানি আছে সে ওষুধের মান প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করা হয় এবং সে মান বজায় রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করা হয়। আগামীতে এই ল্যাবরেটরিতে কোভিড ভ্যাকসিনও পরীক্ষা করা হবে।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় ল্যাবে কর্তব্যরত গবেষকদের কাছে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার খোঁজ-খবর নেন এবং পরামর্শ প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।