পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহযোগীতায় চার লেনে উন্নীত হচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি আগামী বছরের জানুয়ারিতে একনেকে পাস হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ওঠার ঠিক আগ মুহূর্তে আরেক দফায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্প ব্যয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সর্বশেষ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। এর আগে দফায় দফায় বাড়িয়ে প্রকল্পটির প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ১৭ হাজার ১৬১ কোটি টাকায়।
সওজের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে জাপানিজ ইকোনমিক জোনের জন্য সংযোগ সড়কের সংস্থান করতে হচ্ছে। পাশাপাশি সেখানে একটা ইন্টারসেকশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এর বাইরে এডিবি প্রকল্পের পরামর্শক ব্যয়ের জন্য আরো কিছু টাকা ব্যয় করতে বলেছে। সব মিলিয়ে প্রকল্পের ব্যয় কমবেশি ৩০০ কোটি টাকার মতো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হতে পারে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ঢাকার কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালে প্রকল্পটির জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে প্রথমে নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে প্রাক্কলন করা হয় ১০ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। চীনের অর্থায়ন থেকে সরে এসে পরে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। তখন ব্যয় প্রাক্কলন করা হয় ১২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। এরপর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে দফারফা করে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় নিয়ে যাওয়া হয় ১৭ হাজার ১৬১ কোটি টাকায়। এখন তা সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, শুরুতে প্রকল্পটি চীনের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না হারবারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ১০ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা ব্যয় ঠিক করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। তবে এর কিছুদিন পরই বেঁকে বসে চায়না হারবার। জি টু জি ভিত্তিতে তারা প্রকল্পের জন্য ১৬ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় প্রস্তাব করে। একই সময়ে চায়না হারবারের বিরুদ্ধে মোটা অংকের ঘুষ দেয়ার অভিযোগ তোলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব। এসব কারণে চায়না হারবার ১০ হাজার ৩৭০ কোটি টাকায় মহাসড়কটি নির্মাণে রাজি হলেও সরকার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এরপর নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় সরকার। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসে অর্থায়নে যুক্ত করা হয় এডিবিকে।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে (সার্ভিস লেনসহ) উন্নীত করা হবে। প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা)। এর বেশিরভাগ অর্থায়ন করবে এডিবি। ঢাকা-সিলেট ছয় লেন হলো এক্সপ্রেসওয়ে। ২০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মহাসড়কে আটটি ফ্লাইওভার, ২২টি ওভারপাস, পাঁচটি রেল ওভারপাস, ৬৯টি ব্রিজ, ১০টি আন্ডারপাস, তিনটি ইন্টারচেঞ্জ, ২৯টি ফুট ওভারব্রিজ রয়েছে।
সওজ সূত্র জানায়, শুরুতে চীনের অর্থায়ন, পরে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন এবং শেষে এডিবির অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এরই মধ্যে প্রায় চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আর এ চার বছরে মহাসড়কটির নির্মাণ ব্যয় বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।