পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড বা বেক্সিমকো। কোম্পানিটির শেয়ার গত সপ্তাহজুড়েই বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দের শীর্ষস্থানে ছিল। এর ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষস্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার।
ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রে চলে আসায় গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা। আগের সপ্তাহের শেষে এই দাম ছিল ৩২ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চলে আসায় এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮০ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার টাকা। প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ারের এমন দাম বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। এমনকি কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
এ বিষয়ে ডিএসই জানিয়েছে, বেক্সিমকোর শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে কোম্পানিটিকে নোটিশ করা হয়। এর জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স¤প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তার জন্য অপ্রকাশিত কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
হঠাৎ শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও কোম্পানিটির শেষ দুই বছরের লভ্যাংশ চিত্রও খুব একটা ভালো নয়। ২০২০ ও ২০১৯ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ কারণে দুই বছর ধরে মধ্যম মানের বা ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে কোম্পানিটি।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে (ইপিএস) ১৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমে অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে।
বেক্সিমকোর পরই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দ তালিকায় ছিল বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ২১ শতাংশ। এরপরই রয়েছে শাইনপুকুর সিরামিক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকান্ড অ্যারামিট সিমেন্টের ২১ দশমিক ১৯ শতাংশ, জেএমআই সিরিঞ্জের ২০ দশমিক ১২ শতাংশ, ইফাদ অটোসের ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১৬ দশমিক ৬৭ শতংশ, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের ১৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ দাম বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।