রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এক নিউজেই জীবনের সব স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেছে। অসুস্থ স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছি। গতকাল শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনই অসহায়ত্বের কথা জানালেন, আইনজীবী রুহুল আমিন। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
আইনজীবী রুহুল আমিন বলেন, আমার জীবনের লক্ষ্য বা স্বপ্ন ছিলো ভবিষ্যতে একজন উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন আইনজীবী হয়ে সমাজের দরিদ্র অসহায় ও অর্থাভাবে প্রকৃত ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত মানুষের সেবা করার। এই স্বপ্ন নিয়ে ২০০২ সালের ২৭ নভেম্বর উচ্চতর ডিগ্রি ‘ব্যারিস্টারশিপ’ সুসম্পন্ন করতে লন্ডন এ্যাম্বাসিও ফেস করি। কিন্তু অর্থাভাবে সেটি সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অধীনে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর একজন আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হই। এরপর নিয়মানুযায়ী সাতক্ষীরা বারের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলেও অদ্যবধি সদস্যপদ পাইনি।
তিনি বলেন, আমি যখন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অধীনে অনুষ্ঠিত আইনজীবী তালিকাভুক্তির মৌখিক পরীক্ষার্থী ছিলাম, সে সময় ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর কামরুজ্জামান নামের একজন ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কামরুজ্জামান সদর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে কম্পিউটার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন। নিজের পরিচয় গোপন রেখে কামরুজ্জামান তার লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন যে, ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মধ্য রাতে সাংবাদিক সেলিম হোসেনের ব্যবহৃত ইমেইলে ‘এভিডি রাহুল বিডিজিএনআরসাতজিমেইলডটকম থেকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। বার্তায় কামরুজ্জামানের বদলীর বিষয়ে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে ও কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই আমাকে ডেকে নিয়ে বারের সভাপতি এড. শাহ আলম জেলা আইনজীবী সমিতির এক নম্বর ভবনের বিশ্রামাগারে আটকে রাখেন। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা মোবাইলকোর্ট বসিয়ে পাঁচশত টাকা জরিমানা করেন। আমার ফেসুবক আইডি থেকে ফাইল ছবি নিয়ে ‘ভুয়া আইনজীবী রুহুল আমিনকে জরিমানা’ শিরোনামে বিষয়টি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। যা আমার জীবনের সকল স্বপ্ন ভেঙে তছনছ হয়ে যায়।
আইনজীবী রুহুল আমিন বলেন, যে ই-মেইল আইডি’র কথা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিলো সেটি আদৌ আমার ব্যবহৃত আইডি নয়। এরপরও বিনা অপরাধে অপরাধী হয়ে সাজা পেয়েছি। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আমাকে আইনজীবী হিসেবে সনদ প্রদান করলেও সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি অদ্যবধি আমাকে সদস্যপদ প্রদান না করায় আমি আদালতে প্রাকটিস করতে পারছি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।