বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ক্ষমতাসীনদের যোগসাজশে একটি চক্র কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও দলের সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় নেতারা।
আজ শুক্রবার ঢাকার ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন অঞ্জন, সেক্রেটারী মোল্লা মুজিবুর রহমান, কুমিল্লা উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি চৌধুরী রকিবুল হক শিপন, যুবদল নেতা সোহেল সামাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা বলেন, কায়কোবাদের জনপ্রিয়তায় ক্ষমতাসীনরা শুধু ভীতই নয়, গলার কাটা মনে করে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির আশ্রয় নিয়ে তারা বারবার তাকে টার্গেট করেছে। কখনো হত্যা করতে চেয়েছে, কখনো জঘণ্য মিথ্যা প্রচারনা কিংবা বানোয়াট মামলার আশ্রয় নিয়েছে। এই চক্রই তাকে স্পর্শকাতর একটি মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছে। একই সাথে তারা বিএনপির ভিতরে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করেছে। সব ধরনের রসদ ও মদদ দিয়ে বিএনপির নামধারী গুটিকয়েকদের নিয়ে কায়কোবাদবরোধী একটি পক্ষ বানানোর চেষ্টা করেছে।তাদের সেই চক্রান্ত কিংবা এজেন্ডা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গত ২১ ডিসেম্বর একটি পত্রিকায় 'স্বেচ্ছাসেবক দলের সভা বন্ধ করল বিএনপি' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও তার লোকজনকে দোষারূপ করার বিষয়টিকে সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
স্থানীয় নেতারা বলেন, একটি বিশেষ মহল বিএনপির শীর্ষ এক নেতার নাম করে ক্ষমতাসীনদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন থেকেই মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি তথা মুরাদনগরবাসীর স্বার্থ বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই গ্রুপটিই বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জনাব কায়কোবাদকে পরাজিত করতে প্রাণপন চেস্টা করেছে । দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ২০০১ এ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে এবং
জাতীয় পার্টি থেকে একজন প্রার্থী দাড় করিয়ে তার পক্ষে কাজ করেছে। ২০০৮ এর নির্বাচনে সরাসরি তারা আওয়ামী লীগ এর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে । তারপরেও তারা কায়কোবাদকে হারাতে পারেনি ।
তারা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুরাদনগর উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যত জেল-জুলুম, মামলা, হামলা হয়েছে তাদের কাউকে কি এরা কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করেনি। বিদেশে থেকেও কায়কোবাদ এবং তার পরিবার বিগত দিনে করোনা ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, রোজা ও ইদসহ নানা উপলক্ষকে সামনে রেখে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গরীব ও অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তার সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।
নেতারা বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের সীমাহীন জুলুম ও নির্যাতনে কুমিল্লার মুরাদনগরসহ গোটা বাংলাদেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। বেগম খালেদা জিয়াকে কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দীর্ঘ ১ যুগেরও বেশী হলো দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দেয়া হচ্ছে না। ঠিক এমন এক সময়ে মুরাদনগরের মাটি ও মানুষের নেতা শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদকে বিতর্কিত করার হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচারের একটি সংগঠিত ঘৃণ্য অপতৎপরতায় মুরাদনগরবাসী গভীর ক্ষোভ জানাচ্ছে।
এই মুহূর্তে সবাইকে অনৈক্য সৃষ্টি এবং ঘৃণ্য অপপ্রচার থেকে সাবধান থাকার আহবান জানান মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।