পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তার কোনো হুমকি না থাকলেও রাজধানীর গির্জাগুলো ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে কাকরাইলের সেন্ট মেরীস ক্যাথেড্রাল চার্চের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে তিনি একথা জানান।
বড়দিনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো হুমকি নেই জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উগ্রবাদীদের কেন্দ্রীয় অর্গানাইজেশন থেকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠানের আগে স্থানীয়ভাবে আক্রমণের আহ্বান জানায়। এ ধরনের আহ্বান আগেও জানিয়েছে, এবারও জানিয়েছে।
এ ধরনের প্রচারণা তারা চালিয়ে থাকে। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনো তথ্য নেই।
রাজধানীতে ৬৬টি গির্জায় এবার বড়দিনের উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। গির্জাগুলোতে আমরা চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রতিটি গির্জার গেটে আমাদের ইউনিফর্ম পুলিশ আছে। পর্যাপ্ত সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। প্রতিটি গির্জার আশপাশে ডিএমপির সাদা পোশাকে লোকজন নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সিটিএসবি সদস্যরাও নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সড়কে পেট্রোলিং টিম থাকবে।
কাকরাইলের সেন্ট মেরীস ক্যাথেড্রাল চার্চের পুরোহিত ফাদার বিমল ফ্রান্সিস গোমেজ বলেন, নিরাপত্তায় আমরা সন্তুষ্ট। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠান আয়োজনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাইরের আলোকসজ্জা করা হয়নি। প্রার্থনায় জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশ ও বিশ্বের মানুষদের করোনার মতো মহামারি থেকে সুস্থ রাখার জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
তিনি বলেন, প্রার্থনার জন্য আসার ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।