পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলায় র্যাবের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (রামু) মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে রামু থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম এ নারাজি দেন।
শিপ্রা দেবনাথ কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খানের সহকর্মী। গত ১ আগস্ট রামু থানায় তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে নয়টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ ও রামু থানায় তিনটি মামলা করে।
ওই তিন মামলায় সিনহা মো. রাশেদ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে মাদক ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগ থেকে তাদের দায়মুক্তি চেয়ে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব ১০ ডিসেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর ১৩ ডিসেম্বর সিনহা হত্যার ঘটনাটি ‘পূর্বপরিকল্পিত’ দাবি করে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব কক্সবাজার-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।
কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম বলেন, ২১ ডিসেম্বর আদালত মেজর (অব.) সিনহার বোনের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই ঘটনায় টেকনাফ ও রামু থানায় পুলিশের করা তিনটি মামলা থেকে আসামি সাইদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
তিনি বলেন, গতকাল আদালতে শিপ্রা দেবনাথের অব্যাহতির বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন রামু থানায় ১ আগস্ট পুলিশের করা মাদক মামলার বাদী ও উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। যদিও তার এভাবে নারাজি আবেদন করার এখতিয়ার নাই। বর্তমানে তিনি জেলার বাইরের থানায় কর্মরত। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নারাজি আবেদনের তাৎক্ষণিক আদেশ না দিয়ে অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।