Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃতের সংখ্যা কমছে

দেশে করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৩২৯ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩১৮ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৫০১ জন। এ সময়ে ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ২৩৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৪১ হাজার ৯২৯ জন। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে দেখা যায় করোনায় মৃত্যের সংখ্যা কমছে।

এতে বলা হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৩টি, জিন-এক্সপার্ট ১৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৯টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৪৫২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ১৪৫ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ছয় হাজার ৪৯৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার আট দশমিক ৭০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৭৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও নারী ৬ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও রংপুর বিভাগে এক জন করে ৪ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ১৬ জন। বাড়িতে এক জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চার জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৮২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৪৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৫ হাজার ২৫০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৩ হাজার ২৫৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৯৯২ জন।

এদিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৬ জন।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, এদিন সকাল পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪২ জনে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত এক কোটি ৮০ লাখ ২৯ হাজার ৫২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দুটি করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। ফাইজারের পর গত সপ্তাহে মর্ডানার ভ্যাকসিনও অনুমোদন দেয় দেশটি।

ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে। ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ হাজার ছড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮১০ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৭২ লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৯১ জনের। মৃতের সংখ্যায় এরপরে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ কোটি ১৮ লাখ ৫৯৮ জন মারা গেছেন।

এদিকে যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন যে করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, তা আরো সহজে ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট যে নতুন এই ‘ধরন’ (স্ট্রেইন) করোনা ভ্যাকসিনের জন্য হুমকি বা আরো মারাত্মক কোনো রোগের কারণ হতে পারে কিনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ