পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল, বিএনপির স্থান তাদের হৃদয়ে। বিএনপি জনগণের ভালোবাসায় টিকে থাকবে। এ দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মানব সেবা সংঘের উদ্যোগে ‘ছাত্র-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রিজভীর ভূমিকা’-শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি সঞ্জয় দে রিপনের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া পাঠান পাপনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাজিদ হাসান বাবু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন প্রমুখ।
২২ ডিসেম্বর, ১৯৮৪ সালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্বৈরাচার বিরোধী লড়াইয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালিন ছাত্রদল নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের গুলিবিদ্ধ দিবস। একইসাথে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান সিরাজের শাহাদত বার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষ্যে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রুহুল কবির রিজভীর ভুমিকা শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
১৯৮৪ সালের ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপি “শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এর ডাকা একটানা ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট পালন করতে গিয়ে বিডিআর এর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা রুহুল কবির রিজভী। বিডিআর এর গুলিতে তার পেটের নাড়িভুঁড়ি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং প্রাণ হারান জাসদ ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান সিরাজ। নিজের সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা দিচ্ছে। এতে কাজ না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে, গুম করছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থায়-ই কাজ হচ্ছে না। বিএনপি জনগণের দল, বিএনপির স্থান তাদের হৃদয়ে। সুতরাং জনগণের ভালোবাসায় বিএনপি টিকে থাকবে।
তিনি বলেন, সরকার বন্দুকের নল দিয়ে সাময়িকভাবে জনগণকে বন্দি করে রেখেছে। কিন্তু এভাবে বেশিদিন তাদেরকে দমিয়ে রাখা যাবে না। তারা জেগে উঠছে। দুঃশাসনের অবসান হবেই। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনো কারামুক্ত হননি। তথাকথিত মুক্তির নামে তাকে গৃহ-অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। তার সব অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আমরা অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।