Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগতিতে ইউনিয়ন কৃষি অফিসগুলোর বেহাল দশা, জমির মালিকানা নিয়ে চলছে বিরোধ

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:১৭ এএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে রয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন (বিএস ভবন) ও বীজগার।বর্তমানে ভবনগুলো বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।একটি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে মেঘনার ভাংগনের ফলে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাকী গুলো বহুদিন ধরে ব্যবহৃত ও সংস্কার না করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ভবনগুলো কৃষি বিভাগের দখলে থাকলেও দলিলসহ জমির রেকর্ড কৃষি বিভাগের নামে না হওয়ায় এই সব ভবন ও জমি সংস্কারে জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রামগতি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসন ও বীজাগার ভবনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। এতে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নে ১টি,চরবাদামে ১টি , চররমিজে ১টি,বড়খেরীতে ২টি,চরগাজীতে ১টি,আলেকজান্ডার পৌরসভায় ১টি ,চরআব্দুল্লাহ ১টি রয়েছে।তবে চর আব্দল্লাহ ইউনিয়নের ১ টি ইতিমধ্যে নদী ভাংগনে বিলীন হয়ে গেছে।রামগতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০-৬১ সালের দিকে বীজাগার হিসেবে এসব ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৮০-৮১ সালের দিকে বেশিরভাগ ভবন ব্লক সুপারভাইজার বর্তমানে যাহা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বাস ভবন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।এরপর এসব ভবন আর সংস্কার করা হয়নি।ফলে অযত্নে আর অবহেলায় ভবন গুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার কৃষি অফিসে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বাস ও ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় ১৯৮৬-৮৭ সালের পর থেকে এসব ভবনে আর কেউ থাকে না। সেইসঙ্গে বীজাগারও ব্যবহার করা হয় না এই সব ভবনে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জরাজীর্ণ বেশিরভাগ ভবনই জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। দরজা জানালা খুলে নিয়ে গেছে কয়েকটি ভবনের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় কিছু ভূমিহীন মানুষ বাস করছেন। এসব ভবন ব্যবহার না করায় ভবনের পার্শ্ববর্তী জায়গাগুলো স্থানীয়রা ব্যবহার করেছেন। কেউ কেউ বর্তমান ভূমি জরিপে এসব জমি তাদের নামে করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।স্থানীয় কৃষক আযাদ উদ্দীন,অজিউল্লাহ, আব্দুর রহমান ও শাহজাহান জানান, আগে এসব ভবনে কৃষি কর্মকর্তারা থাকতেন ও বীজ থাকতো। ফসলের কোনও সমস্যা হলে তাদের কাছে গিয়ে পরামর্শ ও ভালো মানের বীজ পেতাম। দীর্ঘদিন ধরে এসব ভবনে আর কেউ থাকে না। এজন্য জানালা, দরজাসহ অনেক জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। রাতে এসব স্থানে মাদকসেবীসহ অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। এসব অফিস বন্ধ থাকায় তাদের উপজেলা কৃষি অফিসে যেতে হয়। তারা এসব অফিস সংস্কার করে পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছেন।

রামগতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের সেবা ও বিভিন্ন ফসলের উন্নত বীজ সময়মতো পৌঁছে দেওয়ার জন্য এসব ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এসব ভবন ব্যবহার অনুপযোগী। এসব ভবন ও জমি যেন কোনোভাবে বেহাতো না হয় সেজন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ