Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে না পারার আক্ষেপে কাঁদলেন সন্ত্রাসীদের হামলায় চোখ হারান সোহাগ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:০৬ পিএম

‘ আর কয়দিন পরেই আমার প্রথম সন্তানের জন্ম হবে, অথচ আমি তার মুখ দেখতে পারবোনা’ বলেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন সোহাগ খান। এসময় পাশে বসা সন্তান সম্ভবা স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম ও বৃদ্ধা মা মাকসুদা বেগম সহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও কান্নায়ভেঙে পরেন।
সোহাগ খান ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি। সন্ত্রাসীরা তার দুটি চোঁখ নষ্ট করে দেয়ায় পুরো পরিবারটির জীবনÑজীবিকা এখন অনিশ্চয়তার মুখে। সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্ত হয়ে মামলা তুলে নেয়ারও হুমকি দিচ্ছে। ফলে সোহাগের গোটা পরিবার এখন আতংকের মধ্যে । সোমবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন সন্ত্রাসী হামলায় চোঁখ হারানো সোহাগ খান ও তার পরিবার। সোহাগের বোন মুন্না আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সোহাগ (২৫) বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীর সংলগ্ন মোহাম্মদপুর চরের বাসিন্দা। ফেরী করে ভাঙ্গারী সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের তিন সহোদর গত ৪ ডিসেম্বর সোহাগ খানের ওপর হামলা করে তার দুটি চোখই নষ্ট করে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সোহাগ বলেন, চরের খাসজমি নিয়ে একই এলাকার মোবারক হোসেনের পরিবারের সঙ্গে তাদের ৬/৭ বছর যাবত বিরোধ চলছে। কয়েক বছর আগে তাদের জমি দখল করে নিয়েছে মোবারক হোসেনের পরিবার। এনিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার সময় নগরীর হাটখোলা হকার্স মার্কেটে সোহাগের উপর হামলা চালায় মোবারকের তিনপুত্র সাইফুল, আল আমিন ও রাব্বী। সাইফুল ও রাব্বী তাকে চেপে ধরলে আল আমিন মোটর সাইকেলের চাবি দিয়ে খুঁচিয়ে সোহাগের দুটি চোখ নষ্ট করে দেয়। ওই তিনজন সহ তাদের বড় ভাই নাজমুলকে আসামী করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছ্।ে
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আল আমিন ও সোহাগকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তারা অর্থের জোরে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে। আসামীর অপর দুই ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করছেনা। আসামীরা তাদের প্রতিদিন হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী মডেল থানার উপ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই ভাই আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে। আসামী অপর দুইভাইও আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে ঐ মামলায় তাদের পুনরায় গ্রেফতারের কোন সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ