Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সীমান্তে হত্যার জন্য বাংলাদেশের মানুষকেই ধিক্কার দিচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী! রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৪৯ পিএম

সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকে হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সীমান্তে আমাদের লোক মারা যায় অথচ আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন আমাদের দেশের দুষ্ট ছেলেরা অস্ত্র নিয়ে যায় বলে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে।

বিএসএফ বাংলাদেশের মানুষকে গুলি করে মারে আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষকেই ধিক্কার দিচ্ছে। অথচ যারা গুলি করে মারে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না। এই নতজানু সরকার ক্ষমতায় থাকলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না সার্বভৌমত্ব থাকবে না আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো না। শনিবার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, অত্যন্ত দুঃসময় পার করছি আমরা। কঠিন দুঃসময়। কথা বলা যায় না। কোনো সমাবেশ-মিটিং করা যায় না। একদিকে মিথ্যা মামলা গ্রেফতার, আর না হলে হামলা, এর মধ্যেই বিএনপি নেতাকর্মীদের জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। তারপরও কিন্তু নেতাকর্মীরা বসে নেই। আমাদের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে আছে। অসহায় মানুষের পাশে আছে নিরন্ন এবং আর্তমানবতার সেবায় তারা নিয়োজিত আছেন।

রিজভী বলেন, করোনা ভাইরাসে গোটা জাতি থর থর করে কাঁপছে। হাসপাতালে সিট নাই, অক্সিজেন নাই। আইসিইউতে সিট নাই। মফস্বল গুলোতে আরো ভয়ঙ্কর অবস্থা। কারো যদি করোনা সন্দেহ হয়, সেটি টেস্ট করে রেজাল্ট বের করতে সময় লাগে ৪৮ ঘণ্টা। এর মধ্যে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। রোগীর জন্য যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দরকার সেটার কোনও ব্যবস্থা নাই। আজকে ঢাকা শহরের কোনো হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই। মানুষ কাতরাচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে, হাসপাতাল থেকে ফিরে আসছে। মুমূর্ষ অবস্থায় তারপরে ধুঁকতে ধুঁকতে জীবন চলে যাচ্ছে। ৭০ শতাংশ হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনও সুবিধা নেই। করোনা রোগীদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে অক্সিজেন। প্রতিদিন শুধু মৃত্যুর মিছিল, এরকম একটা দুঃসময়ের মধ্যে আমাদেরকে জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের পাশে থেকে আমাদেরকে আরো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। তিনি বলেন, বিজয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসকে আমরা রাজনীতিকরণ করতে চাইনি। আমরা যেটা চাই সেটা গোটা জাতির অর্জন। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পশ্চিমাদের কাছ থেকে এদেশের দামাল ছেলেরা যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে অনেক ত্যাগ তিতীক্ষা স্বীকার করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। এটা কোনো দলেরও একক কৃতিত্ব নয়, কোনো ব্যক্তির একক কৃতিত্ব নয়।

রিজভী বলেন, আমরা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছোট করছি না কিন্তু তারা যখন ওই ক্রান্তিকালে ওই দুঃসময়ে যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই মেজর জিয়াউর রহমানকে ছোট করেন, তখন আমরা ব্যথিত হই জনগণ ব্যথিত হয়। আমরা আজকে সেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল করি আমাদের আদর্শ হচ্ছে অসহায় নিরন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, স্বেচ্ছাসেবক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুর রহমান মুসাব্বির প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ