Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে হেফাজতের ৩৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:৫১ পিএম | আপডেট : ৩:১৯ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির শাহ আহমদ শফীকে ( রহ) হত্যার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের ৩৬ নেতাকে আসামি করে নালিশি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দের আদালতে মামলাটি করেন আল্লামা শফীর শ্যালক মো. মঈনুদ্দীন। তিনি হেফাজতের কোনো পদে নেই। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগ
তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, নাছির উদ্দিন মুনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস, সহকারী মহাসচিব হাবিব উল্লাহ, সহকারী অর্থ সম্পাদক আহসান উল্লাহ, প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জী, হেফাজতের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী (খাদেম) এনামুল হাসান ফারুকীসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা সবাই হেফাজত ইসলামের নেতা-কর্মী।
বাদীর আইনজীবী আবু হানিফ বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে আহমদ শফীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার আরজিতে বলা হয়, অসুস্থ হলেও আহমদ শফীকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় তার কক্ষে আটকে রাখা হয়। কক্ষে আসামিদের ইন্ধনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। মাদ্রাসা মাঠে আহমদ শফীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রাখা হয়। আর এটি আটকে রাখার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেন এনামুল হাসান ফারুকী।

মামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জী সাংবাদিকদের বলেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছে। এটি হাটহাজারী মাদ্রাসার বিষয়। এখানে হেফাজতের কোনো নেতার ইন্ধন কিংবা ভূমিকা নেই। মামলায় কী অভিযোগ আনা হয়েছে, এখনো দেখতে পারিনি। দেখার পর সাংগঠনিকভাবে বিস্তারিত বক্তব্য দেওয়া হবে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী ইন্তেকাল করেন। শফীর ছেলে আনাসকে চট্টগ্রামের দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতিসহ ছয় দফা দাবিতে ১৬ সেপ্টেম্বর জোহরের নামাজের পর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্ররা।

ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে মাদ্রাসাটির মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে সরে দাঁড়ান আহমদ শফী। একই সঙ্গে তার ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় শুরা কমিটি। দাবি মেনে নেওয়ায় ওই দিন রাতে ছাত্ররা আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
১৫ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে হেফাজতের নতুন আমির নির্বাচিত হন জুনায়েদ বাবুনগরী। এর আগে তিনি সংগঠনটির মহাসচিব ছিলেন। ১৫১ সদস্যের কমিটিতে আমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীসহ তার অনুসারীদের কাউকে রাখা হয়নি।



 

Show all comments
  • Monjur Rashed ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৪৯ পিএম says : 0
    Cruel biting with each other is making them laughing stack.
    Total Reply(0) Reply
  • Monjur Rashed ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৪৯ পিএম says : 0
    Cruel biting with each other is making them laughing stack.
    Total Reply(0) Reply
  • Tareq Sabur ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:৫৩ পিএম says : 2
    সরকারের সাথে আতাত করে বিশ্বাষঘাতকতা করেছিল আনাসমাদানী গংরা। এখন আবার তারা সেই পুরানো মীরজাফরি নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। কদিন পর তারা মূর্তির পক্ষে কথা বললেও অবাক হবার কিছু নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Habib ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৫১ পিএম says : 1
    এরাই হলো দরবারী আলেম এরাই ফতোয়া দেয় ইসলামের ভাস্কর্য জায়েজ এই সমস্ত নামধারী আলেমর নাম হলো.....
    Total Reply(0) Reply
  • Mohamma Monir Uddin ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৫৩ পিএম says : 1
    অনেক গর্জন, অনেক নাটক করেও হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে পারল না রাসূল(সাঃ) ও আউলিয়ায়ে কেরামের দুশমন মামুনুল হকরা....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ