বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সম্পত্তির জন্য শতবর্ষী বৃদ্ধ পিতাকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করছে বাবলু ভূইয়া নামে কুলাঙ্গার পুত্র ও পুত্রবধূ রিনা বেগম। অতিরিক্ত জমি লিখে না দেয়ায় পাষন্ড পুত্র বাবুল ভ‚ঁইয়া ও তার স্ত্রী রিনা বেগম, বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ ভ‚ঁইয়াকে একটি খুপরি ঘরে নিয়ে ঠাই দিয়েছে। দিচ্ছে না ঠিকমতো খাবার, পানি। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধ মজিদ ভ‚ঁইয়া। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে অসহায় মজিদ ভ‚ঁইয়া মনোহরদী থানায় পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছেলে বাবুল ভ‚ঁইয়া লোকজন নিয়ে জোরপূর্বকভাবে গত জুনে বাড়ির পাশের বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ কেটে নিয়ে যায়। এতে বাধা দেয়ায় বাবা আবদুল মজিদ ভ‚ঁইয়াকে মারধর করেন ছেলে বাবুল ও তার স্ত্রী রিনা বেগম।
ওই ঘটনায় মনোহরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধ। এর মধ্যে বাবাকে একা পেয়ে মাস দুয়েক আগে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকটি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় বাবুল। পাশাপাশি ঘরে রাখা আরও কয়েকটি খালি স্ট্যাম্প নিয়ে যান বাবুলের স্ত্রী রিনা। এ ঘটনায় নরসিংদী আদালতেও মামলা করেছেন আবদুল মজিদ ভ‚ঁইয়া। এদিকে শীতে বৃদ্ধ পিতার কষ্ট কিছুটা লাঘবের জন্য খুপড়ি ঘরের পাশে একটি আধাপাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন কন্যা শাওন। কিন্তু এতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাবুল ও তার স্ত্রী। কিছুতেই ওই জায়গায় ঘর করতে দেবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেয়। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে আবারও তাদের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ওই বৃদ্ধ। তবে তৃতীয় ছেলে খোকন পিতার ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো তাকে হুমকি দেয়া হয়। অসহায় বৃদ্ধ ওই পিতা বলেন, সন্তান জন্ম দিয়ে বড় করে মানুষ করেছি। এখন সম্পত্তির জন্য স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আমাকে মারপিট করে। সে আমাকে কখনো ভরণপোষণ দেয় না। শীতে ভাঙা ঘরে থাকতে খুব কষ্ট হয় দেখে মেয়ে শাওন একটি ঘর করতে গেলে সেখানেও সে বাধা দেয়। আমি এই কুলাঙ্গার পুত্র বাবু ও তার স্ত্রী রিনা বেগমের বিচার চাই। এ বিষয়ে কাচিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন খান কনক সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। মনোহরদী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সম্পত্তির জন্য পিতাকে নির্যাতন একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।