পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, মহানবী (সাঃ) কখনো প্লেনে ওঠেননি, আপনারা কেন প্লেনে ওঠেন? তারা (অপব্যাখ্যাকারীরা) কথায় কথায় ধর্মের দোহাই দেন, হাদিসের দোহাই দেন, এটা মহানবী করেননি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, মহানবী কখনো ছবি তোলেননি, আপনারা ছবি তোলেন, মহানবী প্লেনে ওঠেননি, আপনারা ওঠেন কেন? মহানবী গাড়িতে ওঠেননি, আপনারা কেন গাড়িতে ওঠেন? ইসলাম কখনো এ কথা বলে নাই, ইসলাম হচ্ছে সবচেয়ে যুগোপযোগী ও সেরা ধর্ম।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতা স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট: শিক্ষক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হানিফ।
তিনি বলেন, আজকে মুসলমান যারা আমরা দাবি করছি, আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। তাহলে হিন্দু ধর্মের যারা, তাদের কে সৃষ্টি করেছে? খ্রিস্টান ধর্মের যারা, তাদের কে সৃষ্টি করেছে? বৌদ্ধ ধর্মের যারা, তাদের কে সৃষ্টি করেছে? সবই এক আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন। আমরা যদি মনে করি যে, আমাদের সৃষ্টি যদি কোরআন অনুযায়ী হয়, তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সৃষ্টি করার পর আমরা কথা বলার কে? কে অধিকার দিয়েছে? আল্লাহপাক তো ঠিক করে দিয়েছেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।
মাওলানা মামুনুল হককে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি সেদিন দেখলাম, কোনো একজন ইসলাম ধর্মের অপব্যাখা দিচ্ছেন। তারা বলছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য করিনি। আরে কে তুমি? তোমরা তো স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলে। তুমি ছিলে স্বাধীনতার বিপক্ষে, তোমার বাবাও স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল। তোমাদের মুখে স্বাধীনতার কথা মানায় না।
মাওলানা মামুনুল হকসহ ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, আজকে তারা ইসলামের নাম করে যে ভাষায় কথা বলছে, এর মধ্যে কোনো শান্তির চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়? যে ভাষায় কথা বলছেন, এদের মধ্যে কোনো সভ্যতা খুঁজে পাওয়া যায়? তারা উগ্র সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী টাইপের কথাবার্তা বলছেন।
স্বাধীনতা স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি এস এম জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ তেলাওয়াত হোসেন খান ও অধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।